আজকাল ওয়েবডেস্ক: সকালে উঠে এখন আর বাচ্চারা মনে মনে সারাদিন ভাল হয়ে চলার কথা বলে না। অন্তত এমনই অভিযোগ করেন বহু বাবা মা। কিন্তু সকালে উঠে সন্তানকে নিয়মানুবর্তিতার পাঠ পড়ানোর দায়িত্ব কি প্রত্যেক বাবা মা পালন করেন? সন্তানের জীবনে কিছু ভাল অভ্যাস তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা তাদের শারীরিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশে সাহায্য করে। বাবা-মায়ের উচিত ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাসগুলো তাদের সন্তানদের মধ্যে গড়ে তোলা। রোজ সকালে উঠে এমন কিছু কাজ করতে শেখানো যা তাঁদের সারাজীবন মনে থাকবে।
১. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা: প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়িকে বা সারকাডিয়ান চক্রকে ঠিক রাখে। এর ফলে ঘুমের অভাবজনিত ক্লান্তি কমে, মনোযোগ বাড়ে এবং শরীর সুস্থ থাকে। বাবা-মায়ের উচিত সন্তানদের একটি রুটিন তৈরি করতে সাহায্য করা এবং সেই অনুযায়ী ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করানো। ছুটির দিনে সামান্য ছাড় দেওয়া যেতে পারে, তবে যেন তা নিয়মিত না হয়।
২. ঘুম থেকে উঠেই বিছানা গোছানো: ঘুম থেকে ওঠার পর নিজের বিছানা গুছিয়ে রাখা একটি ছোট কাজ হলেও, এটি শিশুদের মধ্যে দায়িত্ববোধ এবং পরিপাটি থাকার অভ্যাস তৈরি করে। এতে দিনের শুরুটা সুশৃঙ্খল হয় এবং নিয়মানুবর্তিতার পাঠ দেয়।
৩. মুখ ধোয়া ও দাঁত ব্রাশ করা: ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোয়া এবং দাঁত ব্রাশ করা স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রাথমিক পদক্ষেপ। এটি মুখ ও দাঁতের জীবাণু দূর করে। অনেক শিশুই এখন ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল তুলে নেয় হাতে। মোবাইলের বদলে সন্তানের হাতে খবরের কাগজ তুলে দিন। এতে পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে। পড়ার বইয়ের বাইরেও জগতকে জানতে পারবে সন্তান।
৪. শরীরচর্চা করা: সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম বা শারীরিক কার্যকলাপ করা শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, মনকে সতেজ করে। এই কাজ যোগাভ্যাস, হালকা দৌড়ানো, লাফানো বা অন্য কোনও খেলার মাধ্যমেও হতে পারে।
৫. স্বাস্থ্যকর জলখাবার গ্রহণ করা: সকালের জলখাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এটি শিশুদের শরীরে দিনের শুরুতে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায় এবং তাদের মনোযোগ ও শেখার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সন্তানদের জন্য পুষ্টিকর জলখাবারের ব্যবস্থা করুন এবং তাদের সেই খাবার খাওয়ার অভ্যাস করান। সকালের পাতে ফাস্ট ফুড বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
