যে কোনও উৎসব, পুজো-পার্বন মানেই বাঁধভাঙা আনন্দ, উচ্ছ্বাস, সাজগোজ আর অবশ্যই জমিয়ে ভূরিভোজ। আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। উমার পরেই কমলালোচনা লক্ষ্মীদেবীর আরাধানার রীতি রয়েছে। লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে কচিকাচা থেকে বড়, সকলের মনেই আলাদা উন্মাদনা থাকে। আর পুজোর খাওয়াদাওয়ায় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে ভোগের খিচুড়ি। কোনও বাড়িতে দেবীকে প্রসাদে খিচুড়ি নিবেদন করা হয়, আবার কোথাও বাড়ির সদস্য ও অতিথিদের জন্য খিচুড়ি বানানো হয়। আপনারও এদিন বাড়িতে খিচুড়ি বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে? তাহলে 'পারফেক্ট' স্বাদ আনতে জেনে নিন টিপস। 

উপকরণ- ২০০ গ্রাম মুগ ডাল, ২০০ গ্রাম গোবিন্দভোগের চাল, ৫০ গ্রাম চিনি, ফুলকপি ২০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, মটরশুঁটি ১০০, টমাটো ১০০ গ্রাম, খিচুড়ি-র উপকারিতা, জিরে, এলাচ, দারচিনি, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা (৪টি), আদাবাটা (দেড় চামচ), নারকেল কোট়া ১ টেবিলচামচ, কাঁচা লঙ্কা ৫ টি, হলুদ গুড়ো ১ চামচ, জিরে গুঁড়ো ১ চামচ, ঘি ১ চামচ, গরমা মশলা গুঁড়ো সামান্য, নুন , জল।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুজোয় এই কয়েকটি নিয়ম মেনে উপোস ভাঙুন, নাহলেই শরীরের জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়তে পারেন

ভোগের খিচুড়ি রান্নায় চাল ও ডাল সমপরিমাণ নিতে হবে। প্রথমে মুগের ডাল হালকা খোলা কড়াইয়ে ভেজে নিন। এরপর একে একে আলু, ফুলকপি, টমেটোও বড় আকারে কেটে নিতে হবে। মটরশুঁটি ধুয়ে রাখুন। চাল ধুয়ে জল ঝরানোর পর হালকা করে সেটিও ভেজে নিন।

একে একে সব সবজি আলাদা করে অল্প তেলে ভেজে নিতে হবে। মশলা কষানোর আগে একটি বাটিতে জল দিয়ে আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো গুলে নিন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে তেলপাতা, জিরে,দারচিনি, এলাচ দিয়ে তিন মিনিট নেড়ে নিতে হবে। এরপর নারকেল কোড়ার অর্ধেক ভেজে নিয়ে বাকিটা রেখে দিন। এরপর গুলে রাখা মশলার মিশ্রণ দিয়ে দিন। নুন-মিষ্টি স্বাদ মতো দিতে হবে। টমেটো দিয়ে কষিয়ে দিন। 

এরপর ভেজে রাখা ডাল, চাল দিয়ে ভালভাবে মেশাতে হবে। বেশ খানিকটা নেড়ে নেওয়ার পর নারকেল ও অল্প আদা বাটা দিন। চাইলে এই সময়ে কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা দিতে পারেন।  এরপর মটরশুঁটি দিয়ে অল্প আঁচে ঢাকনা বন্ধ করে রান্না করুন। প্রায় ২০ মিনিট থেকে আধঘণ্টা পর সমস্ত উপকরণ সেদ্ধ হয়েছে কিনা দেখে নিন। শেষে অল্প গরম মশলা ও ঘি দিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি ভোগের খিচু়ড়ি।