আজকাল ওয়েবডেস্ক: রান্নাঘরের তাকেই পড়ে থাকে বিনা যত্নে। অথচ এই সাদা গুঁড়োটি শুধুমাত্র কেক বা বিস্কুট ফোলাতেই কাজে আসে না, গুণাগুণে টেক্কা দিতে পাড়ে তাবড় তাবড় রাসায়নিককে। সাদা গুঁড়োটিকে আমরা চিনি বেকিং সোডা নামে। বিজ্ঞানের ভাষায়- সোডিয়াম বাইকার্বনেট। রান্নাঘরের অতিপরিচিত এই উপকরণটি এত ভাবে ব্যবহার করা যায়, তা জানলে আপনি নিজেই এর ভক্ত হয়ে পড়বেন।

১. দাঁতের পরিচর্যায়
বাজারজাত দামি টুথপেস্টে যা নেই, তাই লুকিয়ে আছে বেকিং সোডার ছোট্ট কৌটোয়। দিনে একবার বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মেজে দেখুন, দাঁতের দাগ কমবে ও স্বাভাবিক সাদা রং ফিরে আসবে। তবে অতিরিক্ত নয়—সপ্তাহে ২-৩ সোডা ব্যবহারই যথেষ্ট।

২. ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে
ডিওডোরেন্ট মানেই হাজার রকমের ক্ষতিকর রাসায়নিক! তার বদলে বেকিং সোডা হতে পারে একেবারে প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট। বগলে হালকা করে ছিটিয়ে নিন—ঘাম শোষণ করবে, দুর্গন্ধও দূর করবে। চাইলে পছন্দমতো এসেনশিয়াল অয়েল সোডাতে মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩. ত্বকের যত্নে
ত্বকের মৃত কোষ তুলতে চান? এক চামচ বেকিং সোডা ও এক চামচ জল মিশিয়ে মুখে হালকা করে মালিশ করুন। ২-৩ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে মসৃণ, কমবে ব্রণ। যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁরা আগে কনুইতে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন।

৪. রেফ্রিজারেটরের গন্ধ তাড়ায়
ফ্রিজ খুলতেই বাজে গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যায়? সমাধান আছে হাতের কাছেই। একটি ছোট পাত্রে সামান্য বেকিং সোডা রেখে দিন ফ্রিজের ভেতরে। কয়েক দিনের মধ্যেই গন্ধ উধাও হবে! এটি বাতাসে থাকা অম্ল ও ক্ষারীয় গন্ধ শুষে নিয়ে ফ্রিজকে সতেজ রাখে।

৫. ক্লিনিং এজেন্ট হিসেবেও দুর্দান্ত
কড়াই-হাঁড়ির পোড়া দাগ হোক বা বাথরুমের সাদা টাইলস—বেকিং সোডা সব জায়গায় কার্যকর। সামান্য জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর ঘষে দেখুন, ফল মিলবে চমৎকার। চাইলে ভিনিগার মিশিয়ে নিতে পারেন। তাতে আরও জোরদার হবে ক্লিনার।