আজকাল ওয়েবডেস্কঃ হিন্দুশাস্ত্র মতে, প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে পালিত হয় ফলহারিণী অমাবস্যা। এই তিথিতেই দেবী কালী ফলহারিণী রূপে পূজিত হন। আজ ২৬ মে বাংলায় ১১ জ্যৈষ্ঠ সোমবার এবছরের ফলহারিণী কালীপূজা। ফলহারিণী কথার অর্থ হল ফল হরণকারী। হিন্দুমতে প্রচলিত বিশ্বাস, ফলহারিণী রূপে আদ্যাশক্তি মহামায়া কালী সব অশুভ শক্তি হরণ করেন। তাই এই তিথিতে নিষ্ঠাভরে দেবী কালীর পুজো করলে শুভ ফল লাভ পাওয়া যায়।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, সোমবার দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে থেকে শুরু হয়েছে অমাবস্যা। এরপর আগামীকাল মঙ্গলবার ২৭ মে সকাল ৮টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে অমাবস্যা তিথি। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে, অমাবস্যা তিথি পড়ছে ২৬ মে সোমবার সকাল ১১টা ৭ মিনিটে এবং অমাবস্যা তিথির অবসান হবে ২৭ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে।
ফলহারিণী অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র বলছে, এই দিনে স্বয়ং দেবী ভক্তের মনের সাধ পূরণ করার জন্য মর্ত্যে নেমে আসেন। এদিন দেবীকে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল নানা মরশুমি ফল দিয়ে পুজো করার রীতি আছে। তারাপীঠের মতো অনেক মাতৃপীঠে ফুলের বদলে ফল দিয়ে কালী মূর্তিকে সাজানো হয়। ফলহারিণী কালীপুজোয় মনের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য বিশেষ পুজো করা হয়।
* এদিন দেবীকে সবচেয়ে প্রিয় ফলটি নিবেদন করে পুজো দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। পুজোর পর ওই প্রসাদী ফল বাড়িতে এনে রেখে দিন। এক বছর আর ওই ফল আপনি খেতে পারবেন না। মনোস্কামনা পূরণ হলে প্রসাদী ফল গঙ্গায় ভাসিয়ে দিন।
* ফলহারিণী অমাবস্যার দিন গঙ্গায় স্নান করার নিয়ম রয়েছে। গঙ্গা না হলে পুকুর বা যে কোনও জলাশয়ে ডুব দিয়ে স্নান করতে পারেন।
* অমাবস্যা তিথিতে মৌনী ব্রত পালন করতে হবে। গোটা তিথিতে খুবই দৃঢ়ভাবে বাকসংযমী হয়ে থাকতে হবে।
* এদিন অশ্বত্থ গাছের পুজো করারও নিয়ম রয়েছে। শাস্ত্র মতে, জন্মকুণ্ডলীতে যদি চন্দ্র, মঙ্গলের দোষ থাকে তাহলে অশ্বত্থ গাছ পুজো করলে বিভিন্ন গ্রহের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* এদিন মা কালীর সঙ্গে শিবের পুজো করলেও ফল পাওয়া যায়। পঞ্চামৃত দিয়ে শিবের পুজোর নিয়ম রয়েছে।
* কথিত রয়েছে, ফলহারিণী কালীপুজোর পর কোনও দরিদ্র, দুঃস্থকে বস্ত্র ও খাবার দান করতে করলে আপনার জীবনে আসবে সুখ-সমৃদ্ধি।
