আজকাল ওয়েবডেস্ক: রান্নাঘরের এক নিঃশব্দ নায়কের নাম থাইম। সুগন্ধী এই ভেষজটি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, শরীর-মন দুটোই রাখে চনমনে। ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এই উদ্ভিদের জন্ম। কিন্তু থাইম আজ বাঙালি রান্নার ঝাঁপিতেও জায়গা করে নিয়েছে।
১. সংক্রমণ রুখতে থাইম
থাইমে থাকে ‘থাইমল’ নামের একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক উপাদান, যা জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ে ভীষণ কার্যকর। গলা খুসখুস, সর্দি বা হালকা কাশি—এসবের বিরুদ্ধে থাইম চা প্রতিষেধকের মতো কাজ করে। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা গেছে, থাইম ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে অবলীলায়।
২. হজমে সহায়ক
অতিরিক্ত ঝাল বা ভাজাভুজি খেয়ে পেট যদি চড়চড় করে, এক কাপ উষ্ণ থাইম চা খেয়ে দেখতে পারেন। থাইম হজমে সাহায্য করে, গ্যাস কমায় এবং বদহজমের অস্বস্তি দূর করে। প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসাশাস্ত্রেও থাইমের জায়গা ছিল পাচনতন্ত্রের মুশকিল আসানে।
৩. রোগ প্রতিরোধে থাইমের ম্যাজিক
ভিটামিন সি আর এ, সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট—এই তিনে মিলে থাইম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঋতু বদলের সময় যখন একদিকে ঠান্ডা, অন্যদিকে অ্যালার্জি—তখন থাইম আপনার ঢাল হতে পারে।
৪. ত্বকের যত্নে
ত্বকে ব্রণ? অয়েলি ভাব? থাইম-ভেজানো জল দিয়ে মুখ ধুলে মিলতে পারে স্বস্তি। থাইমের জীবাণুনাশক গুণ ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, এবং ব্রণের জীবাণু হটিয়ে ত্বক রাখে সতেজ।
৫. মন শান্ত, ঘুম গাঢ়
মানসিক চাপ? রাতে ঘুম আসছে না? এক বাটি গরম জল আর কয়েক ফোঁটা থাইম এসেনশিয়াল অয়েলে ভেজা তোয়ালে কপালে রেখে দেখতে পারেন। থাইমের সুগন্ধ স্নায়ুকে শান্ত করে, ঘুম আনে।