ফিটনেস বজায় রাখতে কিংবা পেশি গঠন করতে আজকাল অনেকেই শুধু প্রাকৃতিক খাবারের ওপর ভরসা রাখেন না। নিয়মিত খান প্রোটিন শেক ও বার। তাতে হয়তো প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়, কিন্তু উল্টে শরীরের বড় ক্ষতি হতে পারে। এমনকী ক্যানসারের মতো মারণ রোগেরও নেপথ্যে থাকতে পারে এই খাদ্যাভাস। নতুন এক গবেষণা উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গবেষকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া শরীরের জন্য উপকারের বদলে ভয়ংকর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের প্রতি অন্ধ নির্ভরতা কিডনি, পরিপাকতন্ত্র এমনকী ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়াতে পারে।

আরও পড়ুনঃ মাথা ভর্তি টাক, এই জিনিস লাগালে মাত্র ২০ দিনেই চুল গজাবে ফাঁকা জায়গায়! বিজ্ঞানীদের অবাক করা দাবিতে হইচই

গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রোটিন নিলে তা শরীরে ভেঙে অ্যামোনিয়া, ইউরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকর যৌগে পরিণত হয়। এগুলো লিভার ও কিডনির ওপর বাড়তি চাপ ফেলে এবং দীর্ঘমেয়াদে কিডনিতে পাথর জমা বা কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়।

অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পারে বলেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এককথায় ফিটনেস বাড়ানোর আশায় অতিরিক্ত প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে, সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা

চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রোটিন খাওয়ার সীমা প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের জন্য ০.৭৫ গ্রাম, আর কিশোরদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ গ্রাম পর্যন্ত হওয়া উচিত। এর বেশি প্রোটিন নিয়মিত খেলে শরীরের বিপাকীয় কার্যক্রমে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা প্রতিদিন জিম করেন বা ভারী ব্যায়াম করেন তাদেরও ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, ডাল বা বাদামের মতো সুষম খাদ্য থেকেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা উচিত। প্রোটিন শেক ও বারকে কখনওই প্রধান খাদ্য উৎস হিসেবে নেওয়া উচিত নয়।