আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সুস্থতার জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন। যার মধ্যে অন্যতম প্রোটিন। পেশি গঠন, টিস্যু মেরামত, এমনকী শরীরের সার্বিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট। প্রোটিনের ভাল উৎস বলতেই আমিষ খাবারের কথা বলা হয়। নিরামিষের মধ্যে ডাল, সয়াবিন কিংবা পনির সহ বেশ কিছু খাবার প্রোটিনের জোগান দেয়। কিন্তু জানেন কি বিভিন্ন ধরনের বীজেও রয়েছে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন।
বীজের কথা বলতেই সবার আগে চিয়া বীজের কথা মাথায় আসে। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে চিয়া সিড এখন বেশ পরিচিত নাম। কিন্তু শুধু চিয়া সিড নয়, আরও বেশ কয়েকটি বীজ রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি মিটবে।
* হেম্প সিড বা শণের বীজঃ খুব একটা পরিচিত না হলেও শণের বীজের গুণাগুন প্রচুর। এই ছোট, নরম বীজে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড। ৩ চামচ হেম্প সিডে ১০ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। যা একটি ডিমের চেয়েও বেশি। এটি প্রোটিনের এমন একটি উদ্ভিজ্জ উৎস যাতে নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। স্মুদি, স্যালাড সবজিতে দিয়ে খেতে পারেন এই বীজ।
* কুমড়োর বীজঃ কুমড়োর বীজের রয়েছে হরেক পুষ্টিগুণ। এটি প্রোটিনেরও চমৎকার উৎস। ছোট, সবুজ একটি কুমড়োর বীজে ৭ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এতে জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ এই বীজ পেশী গঠন এবং শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
* সূর্যমুখীর বীজঃ সূর্যমুখী বীজ নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না ঠিকই, তবে জানলে অবাক হবেন এটির একটি বীজে ৬ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। সূর্যমুখী বীজ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। রোস্টেট সবজি কিংবা স্মুদিতে যোগ করে এই বীজ খেতে পারেন।
* তিল বীজঃ দেখতে ছোট হলেও তিল বীজ প্রোটিন ও স্বাদ কোনও অংশে কম নয়। একটি তিল বীজে প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া উচ্চ মাত্রায় রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। বিশেষত নিরামিষাশীদের জন্য এটি খুব ভাল প্রোটিনের উৎস। কালো তিল বীজে বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।
