কালীপুজো শেষ হতেই শুরু হয় পোকামাকড়ের উপদ্রব। যদিও এখন কলকাতারয় শ্যামাপোকার উৎপাত অনেক কমে গিয়েছে। কিন্তু শহরতলি অঞ্চলে এই মরশুমে রাতে আলো জ্বালালেই হাজির হচ্ছে সবুজ পোকার দল। প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘরের বা বারান্দার আলো জ্বালালেই চারপাশে ভনভন করে ঘুরতে থাকে ছোট ছোট পোকামাকড়। এই পোকা তাড়ানোর জন্য কি রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করেন? তাহলে এবার আর তেমনটা করার প্রয়োজন নেই। কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 

১. হলুদ আলো ব্যবহার করুনঃ সাদা আলো বা ব্লু টোনের লাইটে পোকামাকড় বেশি আকৃষ্ট হয়। তাই বাল্ব পরিবর্তন করে নিন হলুদ বা উষ্ণ আলোয়। এমন আলো চোখের আরামদায়ক তো বটেই, পাশাপাশি পতঙ্গও সেখানে কম ভিড় করে।

২. বাল্বের অবস্থান বদলানঃ আলো এমনভাবে বসান যাতে তা দরজা বা জানালার বাইরে না ছড়ায়। কারণ বাইরের অন্ধকার থেকে পোকামাকড় আলো দেখেই ভেতরে ঢুকে পড়ে। আলো ঘরের ভিতরে সীমাবদ্ধ রাখলে সমস্যা অনেকটাই কমবে।

আরও পড়ুনঃ অগ্ন্যাশয় ঠিকমতো কাজ করছে না? ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝে নিন বিপদ সংকেত দিচ্ছে শরীর

৩. লবঙ্গ বা নিম তেলের স্প্রে ব্যবহার করুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে পোকা তাড়াতে এটি সবচেয়ে কার্যকর। এক কাপ জলে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল বা নিম তেল মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণটি স্প্রে বোতলে ভরে বাল্বের আশেপাশে ছিটিয়ে দিন। পোকামাকড় গন্ধে দূরে থাকবে।

৪. রসুনের জল এক চমৎকার সমাধানঃ কয়েক কোয়া রসুন জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। সন্ধ্যার সময় এই জল বাল্ব ও তার আশপাশে ছিটিয়ে দিন। রসুনের গন্ধ পোকামাকড় সহ্য করতে পারে না, ফলে তারা দূরে সরে যায়।

৫. পরিচ্ছন্নতা ও সুরক্ষা বজায় রাখুনঃ আলো যেখানে জ্বালানো হয়, সেখানে খাবার বা ময়লা ফেলে রাখবেন না। জানালা বা দরজার ফাঁকগুলো বন্ধ রাখুন। ঘরের বাল্ব নিয়মিত পরিষ্কার করুন, কারণ ধুলো-পড়া বাল্বও পোকাদের আকৃষ্ট করে।

এছাড়াও বাইরের আলো ও ঘরের আলো আলাদা রাখলে পোকা সহজে দিক হারায় এবং ভেতরে ঢোকে না।

অল্প যত্নেই এই পদ্ধতিগুলো মানলে আপনি সহজেই পোকামাকড়ের বিরক্তিকর ভনভন থেকে মুক্তি পাবেন। রাসায়নিক নয়, প্রকৃতির ঘরোয়া উপায়ই হতে পারে আপনার আলো জ্বালানোর নিশ্চিন্ত সঙ্গী।