আজকাল ওয়েবডেস্ক: আধুনির ব্যস্ততার জীবনে শরীরের প্রতি অবহেলার শেষ নেই। কমবয়সিদের মধ্যেও বাসা বাঁধছে একাধিক জটিল ক্রনিক রোগ। অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সঙ্গেই প্রভাব পড়ে যৌন স্বাস্থ্যেও। যদিও যৌনতা নিয়ে কথা বলতে আজও রাখঢাক কম নেই । কিন্তু খিদে পাওয়া, ঘুম পাওয়ার মতো যৌনতাও মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। নিঃসন্দেহে শারীরিক মিলন দু’টি মানুষের সম্পর্কের রসায়নকে আরও দৃঢ় করে।
বিবাহিত বা প্রেম জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ যৌনতা এক বিশেষ অনুভূতিও বটে। তবে যৌনতা কি নিছকই শারীরিক আনন্দ? কখনও ভেবে দেখেছেন দীর্ঘদিন শরীরী সম্পর্কে লিপ্ত না হলে কী হতে পারে? গবেষণায় উঠে এসেছে সেই বিষয়ে চমকে দেওয়া তথ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত সঙ্গম না হলে মহিলাদের যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে। বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে রক্ত প্রবাহ। দীর্ঘদিন বাদে সহবাস করলে যৌন উত্তেজনা কমে যায়। পুরুষদের ‘পারফরম্যান্স অ্যাংজাইটি’ এবং লিঙ্গ শিথিলতার সমস্যা বাড়তে পারে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌনতায় দীর্ঘ ছেদ পড়লে যোনির শুষ্কতা এবং সঙ্গমের সময় যন্ত্রণা হতে পারে। আবার সঙ্গমের সময়ে মহিলাদের দেহে এন্ডোরফিন হরমোনের মাত্রা এবং জরায়ুর সংকোচন বৃদ্ধি পায়। যা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সহায়ক। তাই দীর্ঘদিন শারীরিক মিলন না হলে ঋতুস্রাবের সময় ক্র্যাম্পের সমস্যা বাড়তে পারে।
শারীরিক সঙ্গম শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত শারীরিক মিলন না হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ‘ইমিউনোগ্লোবিউলিন এ’-র মাত্রা বাড়ে। দীর্ঘদিন সঙ্গম না হলে তা কমে যায়। দেখা গিয়েছে, নিয়মিত যৌন সঙ্গমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে।
এছাড়াও নিয়মিত যৌন সঙ্গম ঘুমের উপরও প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ দীর্ঘদিন বাদে মিলনে লিপ্ত হলে ঘুমের নিয়ম বদলে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যত বেশি দিন কেউ শারীরিক সম্পর্ক থেকে দূরে থাকবেন, ততই তাঁর যৌনক্ষমতা কমবে। আবার অনেক সময়ে যৌনতায় দীর্ঘ বিরতি থাকলে সম্পর্কে মানসিক দূরত্বও তৈরি হয়।
