আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্রিকেটে কোনওরকম বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখায়নি ভারতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু হকিতে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার জহর বাহরু‌ সম্পূর্ণ অন্য ছবির সাক্ষী থাকল। সুলতান অফ জহর কাপে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। জুনিয়র হকি টুর্নামেন্টে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর পাকিস্তানের হকি প্লেয়ারদের সঙ্গে 'হাই ফাইভ' করে ভারতীয়রা। যদিও কোনও হ্যান্ডশেক হয়নি দুই দেশের প্লেয়ারদের মধ্যে। কয়েকদিন আগেই সম্পূর্ণ আলাদা ছবি দেখা গিয়েছিল বাইশ গজে। এশিয়া কাপে তিনবার মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু একবারও পাকিস্তানের প্লেয়ারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি সূর্যকুমাররা।‌ এশিয়া কাপ জয়‌ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় মৃতদের পরিবারকে উৎসর্গ করা হয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের হাত থেকে ট্রফি নিতে চায়নি টিম ইন্ডিয়া। 

ভারতের এশিয়া কাপ জয়ের পর সূর্যকুমার যাদবকে জিজ্ঞেস করা হয়, ভবিষ্যতেও 'নো হ্যান্ডশেক' পলিসি অব্যাহত থাকবে কিনা। সূর্য জানান, 'আমি জানি না এরপর কী হবে। দিল্লি অনেক দূরে। জানি না পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে কী হবে। আমরা শুধুমাত্র মাল্টি নেশন টুর্নামেন্টে খেলি। কী হবে দেখা যাবে।' কিন্তু সুলতান অফ জহর কাপে সম্পূর্ণ আলাদা ছবি। হাত মেলাতে না দেখা গেলেও, 'হাই ফাইভ' করতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, ম্যাচের আগে নিজেদের প্লেয়ারদের জন্য সতর্কবাণী দেয় হকি ফেডারেশন। ভারতীয় প্লেয়ারদের সঙ্গে কোনওরকম ঝামেলায় না জড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের প্লেয়ারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি সূর্যকুমার যাদবরা। তিন ম্যাচেই একই সিদ্ধান্তে অনড় ছিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। যার ফলস্বরূপ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এবং আইসিসিকে অভিযোগ জানায় পাকিস্তান। এবার হকিতেও একই ঘটনার সাক্ষী থাকার সম্ভাবনা ছিল। পাকিস্তানের প্লেয়ারদের সঙ্গে হাত নাও মেলাতে পারে ভারতের জুনিয়র হকি দল। এমন একটি ধারণা পোষণ করছিল পাকিস্তান হকি ফেডারেশন। ফেডারেশনের এক কর্তা জানিয়েছিলেন, 'পাকিস্তানের হকি প্লেয়ারদের এই বিষয়ে আগাম সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। যদি ভারতীয় প্লেয়াররা ম্যাচের আগে বা পরে হ্যান্ডশেক না করে, বিষয়টা অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সবরকমের ঝামেলা এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া আছে। যাতে ম্যাচ চলাকালীন কোনওরকম ঝামেলায় না জড়ায় দুই দেশ।' কিন্তু শেষমেষ দুই দলের মধ্যে পরিস্থিতি সেই পর্যায় যায়নি।