আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসামের নগাঁও জেলায় এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে। ধিং লহকর গ্রামের এক বিবাহিতা মহিলা  বিগত দশ বছরে প্রায় ২৫ বার বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার শ্বশুরের দাবি, বিয়ের পর থেকে ওই নারী ২০ থেকে ২৫ জন ভিন্ন পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই নারী সম্প্রতি আবারও এক স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে গৃহত্যাগ করেছেন। এটি নাকি তার ২৫তম বার পালিয়ে যাওয়া। তবুও তিনি আবার বাড়ি ফিরে এসেছেন এবং স্বামী জানিয়েছেন, তিনি স্ত্রীর এই আচরণের পরও তাকে ‘গ্রহণ করতে’ রাজি।

ওই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। তাদের কনিষ্ঠ সন্তানটির বয়স মাত্র তিন মাস।

স্বামীর বক্তব্য অনুযায়ী, গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি মোটর গ্যারেজে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন স্ত্রী নেই। স্ত্রী প্রতিবেশীর বাড়িতে তিন মাসের শিশুটিকে দিয়ে গিয়েছিলেন, বলে গিয়েছিলেন—“ছাগলদের খাবার খুঁজতে যাচ্ছি।” এরপর আর ফেরেননি।

স্বামী জানান, “তিনি পালানোর আগে আমার ঘর থেকে ২২ হাজার টাকা এবং কিছু গয়না নিয়ে গিয়েছেন।”

শ্বশুর বলেন, “এইবার তিনি কার সঙ্গে পালিয়েছেন, আমরা জানি না। এর আগেও বহুবার তিনি এভাবে চলে গেছেন, আবার কয়েকদিন পর ফিরে এসেছেন।”

আরও পড়ুন: 'ভিন জাতের নাতির মুখ দেখব না', ন'মাসের গর্ভবতী পুত্রবধূকে কুপিয়ে শেষ করল শ্বশুর! ইন্ধন দিয়েছিল শাশুড়ি, ননদ

গ্রামের লোকজন অভিযোগ করেছেন, ওই মহিলা বিবাহিত জীবনে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। একজন গ্রামবাসীর ভাষায়, “তিনি প্রায়ই নতুন কারও সঙ্গে দেখা করতেন। অনেক সময় কয়েকদিনের জন্য নিখোঁজ থাকতেন, আবার ফিরে এসে যেন কিছুই ঘটেনি এমন আচরণ করতেন।” কারও কারও আবার বক্রোক্তি, ''এমনিতে ঘরোয়া মেয়ে। সবার ঘরে ঢুকতে ভালবাসে। কাউকে না করে না।"

স্বামী, যিনি পেশায় একজন গাড়িচালক, জানান যে, তিনি স্ত্রীকে বারবার ক্ষমা করেছেন শুধুমাত্র সন্তানদের কথা ভেবে। “আমি জানি, সবাই আমাকে নিয়ে হাসছে। কিন্তু আমার তিনটি সন্তান আছে। আমি চাই না তারা মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হোক,” বলেন তিনি।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পরিবার বা গ্রামের পক্ষ থেকে কোনও  আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে ঘটনাটি গ্রামে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

একজন সমাজকর্মী বলেন, “এই ঘটনা শুধু পারিবারিক অস্থিরতার নয়, বরং সামাজিক ও মানসিক স্থিতির অভাবের ইঙ্গিত দেয়। সমাজের উচিত এমন পরিবারগুলিকে মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক সহায়তা প্রদান করা।”

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধিং লহকর গ্রামে এখন কৌতূহল ও বিতর্কের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, “এমন সম্পর্ক আর টিকে না,” আবার কেউ বলছেন, “স্বামী যেমন ধৈর্য দেখিয়েছেন, তেমন উদাহরণ বিরল।”