সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ফের খবরের শিরোনামে অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখ। তবে নতুন ছবির কারণে‌ নয়। একটি জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। 'দঙ্গল'-এর মতো ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক। তার পর ‘লুডো’-তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আমির খানের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ফতিমা জানালেন অভিনেতাদের জীবনে শুধু চাকচিক্যই শেষ কথা নয়। এর ওপারেও বহু কথা বাকি থাকে। 

 

 

রাখঢাক না রেখেই 'ঠাগস অফ হিন্দোস্তান' ছবির এই অভিনেত্রী জানালেন, 'দঙ্গল' ছবির শুটিং চলাকালীন এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। মূলত স্নায়ুরজনিত জটিলতার কারণেই এই রোগ হয়। এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসাবে বলা যায়, রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। খিঁচুনি হতে পারে। আর ঠিক এই বিষয়টা নিয়েই 'দঙ্গল'-এর শুটিংয়ে ভয় পাচ্ছিলেন ফতিমা। অভিনেত্রীর কথায়, " ওই ছবির শুটিং চলাকালীন আমার এই রোগ ধরা পড়ে। তবে তখন আমি কাউকে জানাইনি। তবে খুব ভয়ে থাকতাম এই ভেবে শুটিং চলাকালীন অজ্ঞান না হয়ে যাই অথবা খিঁচুনি যাতে না শুরু হয়।"

 

সামান্য থেমে তিনি আরও বলেন," প্রথম প্রথম আমি নিজেই এই রোগটাকে মানতে চাইতাম না তাই ওষুধপত্র ঠিক করে খেতাম না। ফলে, মৃগীর উপসর্গ প্রায়ই হানা দিত। এই রোগের কারণেই অনুষ্ঠানে যাওয়া একপ্রকার বন্ধ করেই দিয়েছিলাম। তবে ধীরে ধীরে এই রোগের সঙ্গে লড়ার পাশাপাশি তাঁর অসুস্থতা সংক্রান্ত তথাকথিত লোকলজ্জা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি, জানালেন ফতিমা নিজেই। অভিনেত্রী আরও বলেন, " একবার ছবিশিকারিদের নিজের এই রোগের খবর বলেছিলাম। কারণ ক্যামেরার ফ্ল্যাশের আলো ক্রমাগত চোখে পড়তে থাকলে যাদের এই রোগের উপসর্গ দেখা দেয়, তাঁদের খিঁচুনি শুরু হয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। এবং ছবিশিকারিরা এই খবর পাওয়ার পর থেকে আমার সঙ্গে যা সুন্দর ব্যবহার করেছিলেন, তা ভোলার নয়। আমি কৃতজ্ঞ। আমার অসুবিধা অনেক সময় সহকর্মীরাও বোঝেননি, কিন্ত ওঁরা বুঝেছেন।"

 

অনেকে মনে করেন, মৃগী‌আক্রান্ত রোগীকে জুতোর গন্ধ শুঁকিয়ে হয়তো জ্ঞান ফেরানো সম্ভব। এক অনুরাগীর প্রশ্নে ফতিমা একবার বলেছিলেন, "এটা একেবারেই মিথ। তবে আমার উপর এক বার পরিবারের লোকেরা এই টোটকা প্রয়োগ করেছিলেন। বিশ্বাস করুন, কখনও কারও সঙ্গে এমন করবেন না।"

 

প্রসঙ্গত, 'দঙ্গল' ছাড়া ফতিমার অন্যান্য ছবি, ওয়েব সিরিজের তুলনায় বেশি চর্চা হয় তাঁর ও আমির খানের সম্পর্ক নিয়ে। কিরণ ও আমিরের বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসাবে অনেকেই আঙ্গুল তোলেন ফতিমার দিকে। তবে এই বিষয়ে কখনওই প্রকাশ্যে কিছু বলেননি আমির-ফতিমার কেউই।