সম্প্রতি, সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার স্পিরিট ও নাগ অশ্বিনের কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি.— দু'টি বিগ বাজেট ছবিই ছেড়ে দিয়েছেন দীপিকা। সূত্রের দাবি, তিনি শুটিং–এ দৈনিক ৭–৮ ঘণ্টার কাজের সীমা, অত্যাধিক পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবি এবং নিজের সহযোগী দলের সদস্যদের জন্য বিশেষ সুবিধা চেয়েছিলেন। প্রযোজকেরা রাজি না হওয়ায় আর এগোয়নি আলোচনা। পরিচালক ভাঙ্গা আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি নাম না তুলে দীপিকাকে আক্রমণ করে লেখেন—“এটাই কি তোমার নারীবাদ?”— যা নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়ে!

কিন্তু এর মাঝেই বেরোল আইএমডিবি ( IMDb) –এর ‘২৫ ইয়ার্স অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা (২০০০–২০২৫)’ রিপোর্ট। সেখানে বিশ্লেষণ করা হয়েছে প্রতি বছরের  সেরা ৫ জনপ্রিয় ভারতীয় ছবি। মোট ১৩০ ছবির মধ্যে ১০টিতে আছেন দীপিকা—এবং তাই তিনি এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন চতুর্থ স্থানে। 

তালিকার শীর্ষে রয়েছেন শাহরুখ খান (২০টি ছবি), দ্বিতীয় আমির খান, তৃতীয় হৃতিক রোশন (১১টি করে ছবি)। আর দীপিকা পিছনে ফেলে দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, রণবীর কাপুর, সলমন খান, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, করিনা কাপুর, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং আলিয়া ভাটকেও!

নিজের নাম এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় উঠে আসায় দীপিকা বলেন—“শুরু থেকেই আমাকে বলা হত কীভাবে একজন নারী তাঁর কেরিয়ার ঠিক করবেন, কীভাবে চালাবেন। কিন্তু আমি প্রশ্ন করতে ভয় পাইনি, নিয়ম ভাঙতে ভয় পাইনি। পরিবারের, অনুরাগীদের ভরসাই আমাকে সাহস দিয়েছে নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিতে। আইএমডিবি-র (IMDb) এই ফলাফল প্রমাণ করছে সততা, স্বকীয়তা আর দৃঢ়তাই আসল।”

বর্তমানে দীপিকা ফের জুটি বাঁধছেন শাহরুখ খানের সঙ্গে— কিং ছবিতে, যেখানে থাকছেন সুহানা খানও। অর্থাৎ বিতর্কের ঝড় যাই হোক না কেন, দীপিকা আবারও প্রমাণ করলেন— তিনি শুধু বলিউডের নায়িকা নন, তিনি এক অন্যরকম ভরসার নাম।