আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে লিফট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয়, এরপর তাকে মাদক খাইয়ে টানা চার দিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়। ভয়াবহ ঘটনা বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনএসের ১২৭(২)/৭০(১)/৩৫১(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই জন, জুনেইদ  এবং অংশুমান  মিশ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

পুলিশ জানিয়েছে পারিবারিক কলহের জেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক অটোয় চড়েছিলেন মাদিয়াওনের এক কিশোরী। পথ হারিয়ে ফেলেন অটো চালক। এরপরই খুররমনগর এলাকায় নেমে পড়েন তিনি। এদিকে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই কিশোরীকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেন এক গাড়িতে থাকা দুই পুরুষ ও এক মহিলা। প্রস্তাব নাকচ করে দিলে জোর করে গাড়িতে তোলেন তাঁরা। এরপরই শুরু হয় নৃশংস অত্যাচার। চার দিন ধরে একের পর এক ধর্ষণের শিকার হন ওই ১৮ বছরের কিশোরী। শেষ পর্যন্ত ধর্ষকেরা তাঁকে রেখে আসে কুরসি রোডের কাছে। এরপরই আত্মীয়দের খবর দিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্নানঘরে দুই বোন, কোনও সাড়াশব্দ নেই কেন? দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলেন বাবা, দৃশ্য দেখেই জ্ঞান হারালেন

বিবাদের জেরে গত ১৫ অক্টোবর বাড়ি ছাড়েন ওই কিশোরী। এরপর চিনহাটের কাছে এক বন্ধুর সঙ্গে কিছু সময় কাটান তিনি। ফেরার সময় অটোরিয়েকশায় চড়েন তিনি। কিন্তু ভুল পথে চলে যান অটো চালক। এদিকে, খুররমনগর এলাকায় গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই নেমে পড়েন তিনি। এরপর সেখানে একটি গাড়ি থামে। গাড়িতে ছিলেন দুই পুরুষ ও এক মহিলা। তাঁরা ওই কিশোরীকে গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব নাকচ করতেই জোর করে গাড়িতে তুলে নেন তাঁরা। পরে এক গ্লাস চা খাওয়ানো হয় তাঁকে। ওই চায়েই মেশানো ছিল নেশাদ্রব্য। এরপর মাঝপথে নেমে যান ওই মহিলা। বাকি দুই পুরুষ তাঁকে নিয়ে যান এক ফ্ল্যাটে। সেখানে আনশুমান ও জুনেইদ  নামের ওই দুই যুবক গণধর্ষণ করেন তাঁকে। পরে সেখানে পৌঁছায় তৃতীয় এক যুবক শিবাংশ। সেও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় নাম ধরে একে অপরকে ডাকছিলেন অংশুমান, জুনেইদ  ও শিবাংশ। এরপর অংশুমান ও শিবাংশ ফ্ল্যাট থেকে চলে গেলে জুনেইদ  ওই কিশোরীকে নিয়ে যায় অন্য এক বাড়িতে। সেখানে তাঁকে চার দিন আটকে রেখে বারবার ধর্ষণ করে জুনেইদ। অবশেষে ১৮ অক্টোবর কুরসি রোডের কাছে তাঁকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় জুনেইদ।

আহত ওই কিশোরী এরপর এক বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছান। সেখান থেকে তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। এদিকে, ১৫ অক্টোবর থেকেই নিখোঁজ ওই কিশোরীর পরিবার পুলিশে গণিযোগ করেছিলেন। প্রথমে চুপ থাকলেও পরে জুনেইদের হুমকির পরই পরিবারকে সব কথা জানান তিনি। বিএনএসের ধারার ১২৭(২)/৭০(১)/৩৫১(৩) নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এনামে অংশুমান ও জুনেইদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অংশুমান আইনের ছাত্র এবং জুনেইদ  ছুতোরের কাজ করেন। ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পলাতক রয়েছেন শিবাংশ ও ওই মহিলা।

?ref_src=twsrc%5Etfw">October 25, 2025