এই প্রথমবার ভৌতিক ঘরানার ছবিতে হাত পাকাতে চলেছে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রযোজনা সংস্থা 'উইন্ডোজ'। যার পরিচালনার দায়িত্ব পড়েছে অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের কাঁধে।
'উইন্ডোজ'-এর সঙ্গে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও গাঁটছড়া বেঁধেছেন পরিচালক। 'ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি', 'ফাটাফাটি'র পাশাপাশি নন্দিতা-শিবপ্রসাদের প্রযোজনাতেই 'বাবা বেবি ও'র মতো ছবি পরিচালনা করেছেন অরিত্র। পরিচালক হিসেবে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। এবার চলতি বছরে শীতের শহরে ভূতুড়ে ছবি নিয়ে আসবেন তিনি। যে ছবির নাম 'ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল'। সিনেমার চিত্রনাট্য এবং সংলাপের দায়িত্বে জিনিয়া সেন ও গোধূলী শর্মা।
এ ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন মিমি চক্রবর্তী, সোহম মজুমদার, বনি সেনগুপ্ত, স্বস্তিকা দত্ত। এছাড়াও থাকবেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা,কাঞ্চন মল্লিক, মানসী সিনহা, শ্রুতি দাস, রজত গঙ্গোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য উজান চট্টোপাধ্যায়,বিমল গিরি ও অপূর্ব বার।

ছবিটিতে রয়েছে এক ঝাঁক প্রতিভাবান অভিনেতাদের সমাবেশ। মূল চরিত্রে একটি জুটি হিসেবে আছেন মিমি চক্রবর্তী এবং সোহম মজুমদার, আর অন্য জুটি হিসেবে রয়েছেন বনি সেনগুপ্ত এবং স্বস্তিকা।
সদ্য প্রকাশিত মোশন পোস্টারটি ছবির রহস্যময় জগতের এক ঝলক দেখায়—একটি প্রাসাদ প্রমাণ ঘর,যেখানে দুটি জুটি ট্যাঙ্গো নাচছে, আর পেছনের সিঁড়ি থেকে কয়েকজন দর্শক তা দেখছে। এই দৃশ্যটি রহস্যের এক নিখুঁত ভারসাম্য ধরে রেখেছে, যা ছবির মেজাজকে তৈরি করে দেয়—এটি যেমন ভৌতিক, তেমনই মনোরঞ্জক। মোশন পোস্টারের আবহ সঙ্গীত সেই মেজাজকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: Exclusive: 'কখন ফাটব কেউ জানে না!' কালীপুজোর আগে নিজেকে দোদোমার সঙ্গে কেন তুলনা করলেন সৌরসেনী?
ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক অরিত্র মুখার্জি বলেন, “ভানুপ্ৰিয়া ভূতের হোটেল হল এমন একটি জগৎ তৈরির চেষ্টা, যেখানে হাস্যরস আর ভয় একসঙ্গে সহাবস্থান করে। এটা শুধু ভূত আর ভয় দেখানোর গল্প নয়—এটা অপ্রত্যাশিত জায়গাতেও হাসি, আর একটু পাগলামি খুঁজে পাওয়ার গল্প। এই ঘরানাটা আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে, আর উইন্ডোজ প্রোডাকশনস-এর মতো একটি সংস্থা এমন প্রতিভাবান দলের সঙ্গে এই ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি রোমাঞ্চিত।”
নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে লেখিকা জিনিয়া সেন বলেন, “গত বছর জুনে কালিম্পং-এর একটি পুরনো ঔপনিবেশিক হোটেলে নন্দিতাদি এবং শিবপ্রসাদ-এর সঙ্গে থাকার সময়, আমি প্রায়ই এর খালি করিডোরগুলোতে একা হেঁটে বেড়াতাম। আবছা আলোয় সেই নিস্তব্ধতা আমাকে ভাবাত—আমার আশেপাশে যারা আছে, তারা কি সবাই সত্যিই মানুষ? সেই ভৌতিক চিন্তাটা মনে গেঁথে ছিল, আর ওখান থেকেই 'ভানুপ্ৰিয়া ভূতের হোটেল'-এর ধারণা জন্ম নেয়। যখন নন্দিতাদি, শিবপ্রসাদ, এবং পরে অরিত্র-কে বললাম, তখন প্রত্যেকেই এর সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হতে চাইল। এটা কেবল একটি হরর কমেডি নয়—হাস্যরস, ভয় আর হৃদয়ের মাধ্যমে বলা এটি একটি সামাজিক প্রতিফলনও বটে।”
