আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএফএ শিল্ডের জন্য নথিভুক্ত করা হল হিরোশি ইবুসুকিকে। ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট চলে এসেছে জাপানি তারকার। যার ফলে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে লাল হলুদ জার্সিতে অভিষেক হবে হিরোশির। বুধবার সকালে আইটিসি চলে আসে জাপানি স্ট্রাইকারের। ফলে অনেকটাই আশ্বস্ত লাল হলুদ কর্তারা। বেশ কয়েকদিন ধরে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না আসায় মাঠে নামতে পারেননি। তবে অস্কারের স্ট্র্যাটেজিতে খেলতে কোনও অসুবিধা নেই দীর্ঘকায় জাপানি স্ট্রাইকারের। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্র্যাকটিসের মধ্যেই ছিলেন। তবে শেষ ম্যাচ খেলেছেন মে মাসে। গত সাড়ে চার মাসে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেনি। তবে এটা কোনও সমস্যা নয় বলেই মনে করছেন অস্কার। হিরোশির উচ্চতা প্রায় সাড়ে ছয় ফুট। এরিয়াল বলে ভাল। জাপানি বোমার সংযোজনে নিঃসন্দেহে আরও শক্তিশালী হবে ইস্টবেঙ্গল।
আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে ডার্বির সম্ভাবনা প্রবল। বুধবার ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবকে হারালেই ফাইনালে চলে যাবে মোহনবাগান। আগের দিন নামধারী এফসিকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই ফাইনালের ছাড়পত্র সংগ্রহ করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। হিরোশির সংযোজন আসন্ন ডার্বির উত্তাপ নিঃসন্দেহে বাড়াবে। মোহনবাগানের দুই ডিফেন্ডার অ্যালবার্তো রডরিগেজ এবং টম অলড্রেড বড় চেহারার। বিশেষ করে অ্যালবাতো। তাঁর উচ্চতা সাড়ে ছয় ফুট। সুতরাং, তাঁর সঙ্গে হিরোশির দ্বৈরথ জমবে। সেটা দেখার অপেক্ষায় ইস্ট-মোহন সমর্থকরা। বেশ কয়েক বছর আগে যুবভারতীর সবুজ গালিচায় ডার্বিতে দক্ষিণ কোরিয়ার ডু ডংয়ের কীর্তির কথা এখনও ভুলতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। এবার হিরোশিকে ঘিরে সেই স্বপ্ন দেখছেন লাল হলুদ সাপোর্টাররা। চলতি বছর ডার্বি জয়ে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে জেতে অস্কার ব্রুজোর দল। সুতরাং, ২-০ তে এগিয়ে। চলতি মরশুমে ডার্বি জয়ের হ্যাটট্রিক করতে চাইবে ইস্টবেঙ্গল।
নামধারীর বিরুদ্ধে জিতে শিল্ড ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করলেও, কল্যাণীতে প্রথম ম্যাচ খেলতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। যা নিয়ে প্রচন্ড বিরক্ত অস্কার। ফাইনালে ওঠার পর একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। অস্কার বলেন, 'যে ক্লাব ২৯ বার ট্রফি জিতেছে, ৪১ বার ফাইনালে পৌঁছেছে, সেই দলের সঙ্গে এহেন আচরণের কারণই বুঝছি না। রেফারি যদি একটু কঠিন হাতে ম্যাচ পরিচালনা করতেন, তাহলে নামধারীর দু-তিনজন ফুটবলারকে মাঠের বাইরে যেতে হত। আর আমাদের ছেলেদের কীভাবে মেরেছে ওরা গিয়ে দেখুন। গতমরশুম হলে আমাদের ছেলেরাও হয়তো নিজেদের শান্ত করতে না পেরে কার্ড দেখে ফেলত। কিন্তু এই মরশুমে ছেলেদের বলেছি, অন্যদের প্ররোচনায় পা না দিতে।' তবে আপাতত যাবতীয় ফোকাস ফাইনালে। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন। চলতি মরশুমে ডুরান্ডের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে। এবার আরও একবার ট্রফির হাতছানি রয়েছে। সেটা কোনওভাবে হাতছাড়া করতে চান না অস্কার।
