আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুম্বই বিমানবন্দরে মেজাজ হারালেন যশপ্রীত বুমরা। বিমানবন্দরের বাইরে বেরোনোর সময় তাঁকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে পাপারাজ্জিরা। তাতেই চটে যান তারকা পেসার। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় তাঁকে ঘিরে ধরেছে ফটোগ্রাফাররা। ক্রিকেট মাঠে সচরাচর মেজাজ না হারালেও, এদিন নিজেকে সামলাতে পারেননি তারকা পেসার। বুমরা বলেন, 'আমি তোমাদের আসতে বলিনি। তোমরা অন্য কারোর জন্য এসেছো। ওরা নিশ্চয়ই আসছে।' তারকা ক্রিকেটারের কথায় কর্ণপাত করেনি পাপারাজ্জিরা। ফটোর জন্য অনুরোধ চালিয়ে যায়। তারমধ্যে একজন বলেন, 'বুমরা ভাই, আপনি আমাদের দিওয়ালির বোনাস।' তাতে অবশ্য হেলদোল ছিল না বুমরার। জবাবে বলেন, 'আরে ভাই, আমাকে গাড়ির কাছে যেতে দাও।' দিল্লি টেস্টের পর শহরে ফিরছিলেন বুমরা।
প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন ডিআরএস তাঁর বিরুদ্ধে যায়। বুমরার বল স্ট্যাম্পের সামনে ক্যাম্পবেলের পায়ে লাগে। মনে হয়েছিল, ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু আবেদনে কর্ণপাত করেনি আম্পায়ার। ব্যাটারের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন। তবে ডিআরএস নেয় ভারতীয় দল। বলের লাইন দেখে মনে হয়েছে, স্ট্যাম্পে লাগতো। কিন্তু আউট দেয়নি তৃতীয় আম্পায়ার। যার ফলে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় ক্যাম্পবেল। প্রাপ্য উইকেট থেকে বঞ্চিত হন বুমরা। বোলিং লাইন আপে ফেরার আগে আম্পায়ারের উদ্দেশে বলেন, 'তুমি জানতে এটা আউট। কিন্তু টেকনোলজি সেটা প্রমাণ করতে পারেনি।' এই বার্তা স্ট্যাম্প মাইকে ধরা পড়ে।
এশিয়া কাপে ভারতের অভিযান শুরুর আগে যাবতীয় স্পটলাইট যশপ্রীত বুমরার দিকে ছিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটো টেস্টে না খেলার পর এশিয়া কাপে ফেরেন তারকা পেসার। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে তাঁর অংশ নেওয়ায় ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট প্রসঙ্গ উস্কে দেয়। শেষ টেস্টে না খেলায়, তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সামনে একটানা ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার। এই অবস্থায় কীভাবে তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করা হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শেষ টি-২০ বিশ্বকাপের পর প্রথম সাদা বলের সিরিজ। তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনেকেই খুব আশাবাদী ছিল না। তারমধ্যে ছিলেন অজয় জাদেজাও। ভারতের প্রাক্তনী মশকরা করে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে বুমরা খেললে, তিনি স্ট্রাইকে চলে যাবেন। তুলনামূলকভাবে সহজ ম্যাচে দলের একনম্বর বোলারকে না খেলানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।
