সংবাদ সংস্থা মুম্বই: অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার ব্যক্তিগত জীবনও ছিল যারপরনাই রঙিন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জুড়ে থাকত বিতর্কও। তাঁদের নিয়ে আজও কম ফিসফাস ছড়িয়ে থাকে না বলিপাড়ায়। বলিউডে অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন ও রেখার ত্রিভুজ প্রেমের গুঞ্জন আজও সমানভাবে আলোচিত। ১৯৭৩ সালে অমিতাভ ও জয়ার চারহাত এক হয়।  এবং কিছু বছর পরেই তাঁদের দুই সন্তান- অভিষেক এবং শ্বেতা জন্মগ্রহণ করেন। তখন অমিতাভ বলিউডের ‘শাহেনশাহ’ হয়ে উঠলেও, রেখার সঙ্গে তার কথিত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। যদিও তাঁরা কখনওই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি, তবুও এত বছর পরেও এই বিষয়টি বলিউডের অন্যতম রহস্যময় প্রেম কাহিনি হিসেবে রয়ে গিয়েছে।

 


সম্প্রতি, প্রবীণ লেখক ও চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ হানিফ জাভেরি এক সাক্ষাৎকারে এই সম্পর্ক নিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন। একটি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হানিফ জানান, 'দো অঞ্জানে' ছবির শুটিং চলাকালীন অমিতাভ ও রেখার মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যদিও তিনি জানেন না তাঁদের প্রেমের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল, তবে তিনি জোর গলায় বলেন, “তাঁরা একে অপরকে ভালোবাসতেন, এটা শতভাগ সত্যি।”

 

একই সাক্ষাৎকারে হানিফ আরও জানান, ‘কুলি’ ছবির শুটিং চলাকালীন অমিতাভ গুরুতর আহত হলে জয়া বচ্চন তাঁর পাশে স্তম্ভের মতো দাঁড়ান। স্বামীর সুস্থতার জন্য তিনি নিজের সর্বস্ব দিয়ে লড়ে গিয়েছিলেন। আর এই সময়েই নাকি অমিতাভ বুঝতে পারেন, জয়াই তাঁর জীবনের সত্যিকারের সঙ্গী। এদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই অমিতাভ ও রেখার কথিত সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়। আর এরকম আবহেই জয়া নাকি এক সাহসী পদক্ষেপ নেন! হানিফ জাভেরির দাবি, একদিন অমিতাভ বাড়ি ছিলেন না। ‘শাহেনশাহ’র অনুপস্থিতিতে তিনি রেখাকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। দুপুরের খাবারের আয়োজন করেন, হাসিমুখে আলাপচারিতা চালান। তবে বিদায় নেওয়ার মুহূর্তে নাকি জয়া রেখার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে স্পষ্ট বলেন, “অমিতাভ শুধুই আমার। তিনি আমার ছিলেন, এবং চিরকাল আমারই থাকবেন।” এইটুকুই। 

 

আর এই ঘটনার পরপর-ই নাকি অমিতাভ-রেখার সম্পর্কের ইতি ঘটে!