চিকিৎসকরা জানান, কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে দেহে টক্সিন জমে যায়, জল ও খনিজের ভারসাম্য নষ্ট হয়। চোখ যেহেতু অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ, তাই শরীরের ভেতরের পরিবর্তন অনেক সময় প্রথমে চোখেই ধরা পড়ে। চোখ শুধু দৃষ্টি দেয় না, শরীরের ভেতরের গুরুতর অসুস্থতারও আগাম বার্তা দেয়। তাই চোখের সংকেতকে উপেক্ষা না করে সতর্ক থাকা কিডনি ফেইলিওরের ঝুঁকি কমানোর মূল উপায়। চোখে যে লক্ষণগুলো কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে তা হল-
2
8
চোখের নিচে ফোলা- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের নিচে ফোলা যদি সারাদিন থাকে, তবে সেটা ঘুমের অভাব বা ক্লান্তির কারণে নাও হতে পারে। কিডনির অসুস্থতায় শরীর থেকে প্রোটিন বেরিয়ে যেতে পারে এবং জল জমে এই ধরনের ফোলাভাব দেখা দেয়।
3
8
দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়া বা দ্বিগুণ দেখাঃ হঠাৎ ঝাপসা দেখা বা একই জিনিস দু'বার দেখা-এগুলো উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। যা আবার কিডনির সমস্যার সঙ্গেও জড়িত।
4
8
চোখ শুষ্ক ও জ্বালাপোড়াঃ চোখে বারবার শুষ্কতা, খসখসে ভাব বা জ্বালাপোড়া দেখা দিলে শরীরে টক্সিন বেড়ে গেছে বা খনিজের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়।
5
8
চোখ লাল হয়ে যাওয়াঃ কোনও কারণ ছাড়াই চোখ লাল হয়ে গেলে তা হতে পারে কিডনি রোগের ইঙ্গিত। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ বা অটোইমিউন রোগের কারণে কিডনির ক্ষতি হলে এই ধরনের সমস্যা চোখে ধরা পড়ে।
6
8
রং বোঝায় সমস্যাঃ হঠাৎ করে নীল বা হলুদ রং চিনতে সমস্যা হলে তা চোখের স্নায়ুর ক্ষতির লক্ষণ। কিডনির অসুখ দীর্ঘমেয়াদে এই ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
7
8
ডার্ক সার্কেল ও চরম ক্লান্তিঃ কিডনির সমস্যায় ঘুম ব্যাহত হয়, ফলে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল তৈরি হয় এবং সারাদিন ক্লান্তি লেগে থাকে।
8
8
চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, চোখে দেখা দেওয়া এই পরিবর্তনগুলোকে অবহেলা উচিত নয়। যদি বারবার এমন উপসর্গ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত জল পান এবং রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে কিডনি সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।