সংবাদ সংস্থা মুম্বই: নয়ের দশকের বলিউড ছিল যেমন রঙিন তেমন হরেক কিসিমের গুজব-গুঞ্জনে ঠাসা। বলি-নায়িকাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েও তাক লাগানো সব কিসসা শোনা যেত। এরকমই একটি ফিসফাস প্রায় গর্জনে পরিণত হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। শোনা যেত, ত্রিকোণ সম্পর্কে জড়িয়েছেন মনীষা কৈরালা, ঐশ্বর্য রাই এবং সুপারমডেল রাজীব মুলচন্দানি। গুজবের সূত্রপাত যখন মনীষা অভিযোগ এনেছিলেন ঐশ্বর্যর বিরুদ্ধে, যে নীল নয়না সুন্দরী সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁর তৎকালীন প্রেমিক রাজীবের সঙ্গে। ‘দিল সে’ অভিনেত্রী অভিযোগ এনেছিলেন, তাঁর হাতে পৌঁছেছিল ওই দু’জনের প্রেমপত্র-ও।
ঐশ্বর্যও চুপ করে থাকার পাত্রী ছিলেন না কোনওকালেই। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন গোটা ব্যাপারে তিনি যারপরনাই বিস্মিত ও ব্যথিত। ঐশ্বর্য বলেছিলেন, “বরং মনীষা অভিনীত ‘বোম্বে’ দেখে আমি অভিভূত হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, ওঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠাব। এমন সব ভাবনার মাঝেই আমার বন্ধু রাজীব ফোন করেছিল। আমি ওকে নিজের ইচ্ছের কথা জানাতেই ফোনের ওপ্রান্ত থেকে হেসে উঠেছিল ও। তারপর বলে উঠেছিল –‘তুমি কি খবরের কাগজ দেখেছ? মনীষা তোমার ব্যাপারে কী বলছে জানো?’ শোনামাত্রই, আমি দেখি। খবরে দেখলাম মণীষা অভিযোগ জানিয়েছে, রাজীব নাকি আমাকে প্রেমপত্র লিখেছে। এবং তা মনীষার হাতে পড়েছে। অর্থাৎ আমি এবং রাজীব সম্পর্কে জড়িয়ে আছি....খুব অবাক হয়েছিলাম। কান্নাকাটিও করেছিলাম। আমার সহজ কথা, যদি আমার কারণেই মনীষা এবং রাজীবের বিচ্ছেদ হয়েছে তো তা বলতে এত মাস সময় লাগাল কেন ও? মণীষার ওই পর্ব আমাকে খুব বিরক্ত করেছিল। খুব কষ্ট হয়েছিল।”
