মোহনবাগান - ০

ডেম্পো - ০

আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপার কাপে ডার্বির উত্তেজনা বহাল থাকল। ইস্ট-মোহন ম্যাচের ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী রাউন্ডের ভাগ্য। মঙ্গলবার গোয়ার ফাতোর্দা স্টেডিয়ামে সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আটকে গেল মোহনবাগান। চেন্নাইন এফসি‌‌র বিরুদ্ধে জয়ের পর ডেম্পোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। মোহনবাগানের তারকাখচিত স্ট্রাইকিং ফোর্স গোলমুখ খুলতে পারেনি। একাধিক সুযোগ নষ্ট ম্যাকলারেন, পেত্রাতোস, রবসনের। তবে প্রশংসা করতেই হবে ডেম্পোর ফুটবলারদের। ইস্টবেঙ্গলের পর মোহনবাগানকে আটকে দিল পাঁচবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা। 

দলে একাধিক পরিবর্তন করেন হোসে মোলিনা। বিশাল কাইথ, টম অ্যালড্রেড এবং আব্দুল সামাদ ছাড়া বাকি আটজনকে বদলে ফেলেন। রক্ষণে টমের নতুন সঙ্গী দীপেন্দু। বোঝাই যায়, ডার্বির ভাবনা ঢুকে পড়েছে শিবিরে। তাই একাধিক প্লেয়ারকে এদিন বিশ্রাম দেন। তার প্রভাব পড়ে দলের খেলায়। শুরুতে কিছুটা ছন্দহীন দেখায়। ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিয়েছিল ডেম্পো। এদিন প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হয়। দলে একাধিক পরিবর্তন করলেও, ফরমেশন বদলাননি বাগান কোচ। সামনে একা দিমিত্রি পেত্রাতোসকে রেখে ৪-২-৩-১ এ ছক সাজান। বাঁ দিকে রাখেন রবসনকে। সেইভাবে ওপেন সুযোগ কোনও দলই তৈরি করতে পারেনি। প্রথমার্ধে গোল লক্ষ্য করে ছ'টি শট নেয় মোহনবাগান। তারমধ্যে সবই বাইরে। ম্যাচের পাঁচ মিনিটে রবসনের শট তালুবন্দি করে চেন্নাই কিপার। ম্যাচের ২৪ মিনিটে মোহনবাগানের দ্বিতীয় সুযোগ। কিন্তু কামিন্সের শট বাইরে যায়। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আবার গোলের সুযোগ। রবসনের ক্রস থেকে আশিস রাইয়ের হেড সরাসরি তালুবন্দি করে ডেম্পো কিপার। প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ডেম্পোও। তবে হাফ চান্স। সমস্যায় পড়তে হয়নি বিশালকে। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একাধিক পরিবর্তন করেন মোলিনা। নামান ম্যাকলারেনকে। তবে বিরতির পর শুরুটা ভাল করে ডেম্পো। একবার বিশালকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু বিপদ তৈরি হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটা গোলের নিশ্চিত সুযোগ পায় বাগান। কিন্তু তেকাঠিতে রাখতে পারেননি ম্যাকলারেন, পেত্রাতোস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুযোগ বাগানের। কিন্তু আশিসের লম্বা পাস থেকে ম্যাকলারেনের শট বাইরে যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার সুযোগ। ফাঁকায় দাঁড়ানো রবসনকে বল বাড়ালেই নিশ্চিত গোল। কিন্তু নিজে শট নেন পেত্রাতোস। বাঁচায় ডেম্পো কিপার। শেষদিকে আক্রমণ বাড়ে বাগানের। ম্যাকলারেনের শট গোলের মুখ থেকে হেড করে বিপদমুক্ত করেন মহম্মদ আলি। গোটা ম্যাচেই নজর কাড়েন ডেম্পোর ডিফেন্ডার। শেষ মিনিটেও গোলের সুযোগ পেয়েছিল সবুজ মেরুন। কিন্তু মনবীরের শট পোস্টের ওপর দিয়ে ভেসে যায়। গোটা নব্বই মিনিট একাধিক সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও ডেম্পোর রক্ষণ ভাঙতে পারেনি বাগানের অজি ত্রয়ী।