আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেকের শরীরেই দেখা যায় ছোট ছোট কালো কিংবা লাল বিন্দু, যাকে আমরা সাধারণত তিল বলে চিনি। অনেক সময় মুখের তিল ব্যক্তির সৌন্দর্য বাড়ায়, কিন্তু জানেন কি—এই তিলের অবস্থান এবং রঙ শুধু বাহ্যিক রূপ নয়, আপনার ভাগ্য, স্বভাব এবং সম্পর্কের প্রবণতাও নির্ধারণ করতে পারে?

জ্যোতিষশাস্ত্র এবং প্রাচীন সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে, শরীরের বিভিন্ন অংশে থাকা তিল মানুষের ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিস্ময়কর বার্তা দেয়। বিশেষ করে গোপনাঙ্গ, ঠোঁট, চোখ, বুক অথবা নাভির আশেপাশে তিল থাকা—এই সবের নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে প্রাচীন শাস্ত্রে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোপনাঙ্গে তিল থাকা ব্যক্তিরা সাধারণত উচ্চ যৌন আকাঙ্ক্ষা সম্পন্ন হন। তারা শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অধিক সংবেদনশীল এবং গভীর আবেগের অধিকারী। এই ধরনের তিল পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌন জীবনকে সক্রিয় এবং তৃপ্তিদায়ক করে তোলে বলে বিশ্বাস করা হয়।

মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি বুক বা স্তনের আশেপাশে তিল থাকে, তাহলে তা এক আত্মবিশ্বাসী, সহানুভূতিশীল ও প্রেমপ্রবণ ব্যক্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। এঁরা দায়িত্ব নিতে জানেন, এবং কারো প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশে কুণ্ঠিত নন। তবে শাস্ত্র মতে, এই ধরনের নারীরা প্রায়শই জীবনের পরিণত পর্বে এসে প্রকৃত সঙ্গীকে খুঁজে পান।

তিলের আকার, রং এবং অবস্থান—সবকিছুই বিবেচ্য বলে মনে করেন জ্যোতিষ শাস্ত্র বিশারদরা। তাঁদের মতে, এসব চিহ্ন ভবিষ্যতের সুখ-দুঃখ, সম্পর্কের গতি এবং এমনকি অর্থনৈতিক অবস্থানেরও পূর্বাভাস দিতে পারে। তবে মনে রাখা জরুরি, এসব বিশ্বাস একান্তই প্রাচীন শাস্ত্রনির্ভর। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে, তিল মূলত চর্মজ বিকাশের একটি স্বাভাবিক রূপ। তবুও অনেকেই বিশ্বাস করেন, শরীরে লুকিয়ে থাকা এই ক্ষুদ্র বিন্দুগুলি বহন করে বিশাল বার্তা।

বি. দ্র.: এই প্রতিবেদন কেবল প্রাচীন শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যার ভিত্তিতে তৈরি। একে বিজ্ঞানের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক নয়।