আজকাল ওয়েবডেস্ক: লজ্জার রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের। গলে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট কিউয়িরা। গত এক দশকে টেস্টের ইতিহাসে উইলিয়ামসনদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম। এর আগে ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে লঙ্কার বিরুদ্ধে ১০২ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২০২১ সালে ওয়াংখেড়েতে ভারতের বিরুদ্ধে ৬২ রানে শেষ হয় কিউয়িদের ইনিংস। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত লাল বলের ক্রিকেটে এটাই তাঁদের সবচেয়ে কম রান। এবার সবচেয়ে বড় হারের মুখে দাঁড়িয়ে উইলিয়ামসনরা।‌ প্রথম ইনিংসের শেষে ৫১৪ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। গলের ঘূর্ণি পিচে লঙ্কার স্পিনারদের মোকাবিলা করা সম্ভব নয় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের পক্ষে। সুতরাং মিরাকেল না ঘটলে, টেস্টে আরও একটা বড় হারের মুখে ব্ল্যাকক্যাপসরা। ২০০২ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইনিংস এবং ৩২৪ রানে হেরেছিল কিউয়িরা। 

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ীদের এ কী হাল! দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ০-১ এ পিছিয়ে থেকেই নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য ছিল প্রত্যাবর্তন করা। কিন্তু হিতে বিপরীত। প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে অল আউট। কিউয়িদের ফলো অন করায় শ্রীলঙ্কা। চলতি বছর টেস্টে ক্রিকেটে এটাই প্রথম ফলো অন। এরপরই ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসবে নিউজিল্যান্ড। এই পারফরমেন্স নিঃসন্দেহে উইলিয়ামসনদের ওপর চাপ বাড়বে। অন্যদিকে কিছুটা স্বস্তি পাবে ভারতীয় শিবির। এর প্রভাব বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে পড়বে। 

দ্বিতীয় টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৬০২ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা। কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস এবং দীনেশ চান্ডিমল শতরান করেন। একশোর হ্যাটট্রিকে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। কিউয়িদের হয়ে সর্বোচ্চ রান মিচেল স্যান্টনারের। আটজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেনি। চার ঘণ্টার ব্যবধানে দু'বার আউট হন কেন উইলিয়ামসন। এর আগে ২০০২ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৩ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। আবার সেই লজ্জা ফিরল। ৪২ রানে ৬ উইকেট নেন প্রভাত জয়সূর্য।