আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর ঝলক মুক্তির পর থেকেই নেটদুনিয়ায় চলছে উত্তেজনার জোয়ার। স্টান্ট, সাসপেন্স আর স্মৃতিমাখা রোমাঞ্চ—সব মিলিয়ে এ যেন এক জিয়া নস্ট্যাল হওয়ার উথালপাথাল ঝড়! টম ক্রুজ মানেই গ্র্যাভিটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হেলিকপ্টার থেকে লাফ, দমবন্ধ করা স্টান্ট, আর চরম জীবনের ঝুঁকির মাথায় বাজি ধরার সেই চিরচেনা ব্যক্তিত্ব। ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর ঝলকেও উঠে এল টমের সেই পুরোনো মোড়কের নতুন আগুন।

 

 

খবর, ‘মিশন ইম্পসিবল’-এর অষ্টম ছবি-ই সম্ভবত সিরিজের শেষ ছবি। ঝলকে টমকে দেখা গেল একবার মাঝ আকাশে বাইপ্লেনের বিমানের ডানা ধরে ঝুলছেন, কখনও সেই বিমান থেকে ঝাঁপ দিচ্ছেন—যেন বিপদের মাঝেই তাঁর ঘরবাড়ি! ঝলকের শুরুতেই নেপথ্য থেকে শোনা যায় এক চরিত্রের কণ্ঠ: “এটা সত্যি হতে পারে না।” কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি বোঝা যায়, এ তো শুধু সত্যি নয়, এই ইথান হান্টের রক্তেই রয়েছে বিপদের অমোঘ নেশা।

 

 

ঝলকের পরতে পরতে ছুঁয়ে পড়ছে নস্ট্যালজিয়ায় মোড়া 'ইম্পসিবল'-এর অ্যাকশন-সিগনেচার। ঝলকে ঠাঁই পেয়েছে ব্রায়ান ডি পালমা পরিচালিত ১৯৯৬ সালের প্রথম 'মিশন ইম্পসিবল' ছবির ফুটেজ সহ সিরিজের নানা উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত। ইথান হান্টের নানান মিশনের হাড় হিম করা সব মুহূর্ত, গ্রাউন্ড লেভেলে সেইসব বিখ্যাত দৌড়, বিস্ফোরণ থেকে পালানো, কড়া নিরাপত্তাকে ফাঁকি দিয়ে কাজ হাসিল করা —সবই একের পর এক ঝলকে ফিরে এসেছে। পাশাপাশি ইথানকে বন্দিও করা হয়েছে, কারণ গোটা পৃথিবী আবারও বিশৃঙ্খলার দ্বারপ্রান্তে আর তাঁর সমস্ত গোপন তথ্য এখন ‘পাচার’ করার মুখে। এবার ইথান হান্টকেই সেই সর্বনাশ থামাতে হবে—হয়তো শেষবারের জন্য।

 


ঝলকের নীচে নস্ট্যালজিয়ায় ডুবে থাকা কমেন্টে ছেয়ে গেছে সমাজমাধ্যম। কেউ লিখেছেন, “বড়পর্দায় এই ছবি না দেখলেই নয়।” আরও একজন লিখেছেন, “মিশন ইম্পসিবল ৩০ বছর পার। তারপরে ফের একবার মুখোমুখি। চলে শেষবারের মতো!” আরেক ভক্তের কথায় – “প্লেন থেকে,  মরুভূমির বুক চিরে দৌড়োচ্ছে, পর্বতের খাদের ধরে বাইক চালাচ্ছে, মহাসাগরের বুকে সাবমেরিনের মধ্যে ঢুকে পড়ছে! কী না করেনি! টম ক্রুজের জবাব নেই!” ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’–এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি, যিনি এই সিরিজের পাঁচ নম্বর ছবি থেকে থেকে টানা এই সিরিজ পরিচালনা করছেন। টমের সঙ্গে এই ছবিতে থাকছেন হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং রেমস, সাইমন পেগ, ভেনেসা কার্বি, পম ক্লেমেনটিফ, অ্যাঞ্জেলা বাসেট, হেনরি জার্নি, নিক অফারম্যান সহ একগুচ্ছ পরিচিত মুখ।

 

 

প্রথমে ‘ডেড রেকনিং – প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ’ হিসেবে তৈরি হলেও, সপ্তম পর্বের পর নতুন নামকরণ করা হয়: ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’। প্যারামাউন্ট পিকচার্সের প্রযোজনায় বিশ্বজুড়ে বড়পর্দায় এই ছবি মুক্তি পাবে আগামী ২৩ মে, ২০২৫।

 


টম ক্রুজের এই শেষ দৌড় কি ‘মিশন ইম্পসিবল’-এর সিরিজকে মহাকাব্যে পরিণত করবে? এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা...