আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পহেলগাঁও-এ গতকাল ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি চারজন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে- আদিল গুরু, আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ ও আবু তালহা। তাদের হাতে ছিল তিনটি একে-৪৭ রাইফেল এবং একটি এম৪ রাইফেল। জানা গেছে, তারা পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে জড়িত এবং অন্তত দুইজন বিদেশি নাগরিক।
এই বর্বর হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। গোটা দেশ জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, আর নিরাপত্তা সংস্থাগুলি হামলাকারীদের সন্ধানে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে।
হামলার খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তড়িঘড়ি কাশ্মীর পৌঁছে রাজ্যপাল মনোজ সিনহা ও মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি সৌদি আরব সফরে ছিলেন, তাঁর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন। তিনি টুইটে জানান, "এই বর্বর ঘটনার পেছনে যারা আছে, তাদের বিচার হবেই। আমাদের সংকল্প আরও দৃঢ় হবে।"
আজ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, "ভারত সন্ত্রাসের সামনে মাথা নত করবে না। এই কাপুরুষোচিত হামলার অপরাধীরা ছাড় পাবে না।"
বেঁচে ফেরা পর্যটকদের বক্তব্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদীরা ধর্ম জিজ্ঞেস করে পুরুষদের গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের দেহ ইতিমধ্যেই তাঁদের নিজ নিজ রাজ্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যটকদের সহায়তার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক বিমান সংস্থাগুলিকে ভাড়ার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনুরোধ করেছে।
এদিকে, হামলার পর দিল্লি, মুম্বই-সহ দেশের বড় বড় শহরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সর্বত্র তৎপর।
