আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিখর ধাওয়ানকে বক্সিং ম্যাচের জন্য চ্যালেঞ্জ জানালেন আবরার আহমেদ। এশিয়া কাপে তেমন সাফল্য পায়নি পাকিস্তানের স্পিনার। মাত্র ছয় উইকেট নেন। তাঁকে এমন একজন প্লেয়ারের নাম বলতে বলা হয়, যাকে তিনি একেবারেই পছন্দ করেন না, এবং তাঁর সঙ্গে বক্সিং রিংয়ে মুখোমুখি হতে চান। তাতেই শিখর ধাওয়ানের নাম নেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর উদ্দেশে প্রশ্ন ছিল, এমন একজন প্লেয়ারের নাম বলুন যার বিরুদ্ধে আপনি বক্সিং ম্যাচে নামতে চান। যার ওপর আপনার রাগ আছে।' তার জবাবে আবরার বলেন, 'আমি বক্সিং রিংয়ে সামনে শিখর ধাওয়ানকে চাই।' অর্থাৎ, ভারতীয় ক্রিকেটের গব্বরকে বক্সিং ম্যাচের চ্যালেঞ্জ জানান পাকিস্তানের ক্রিকেটার।
এই বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে এলেও, এমন মন্তব্য চলতি বছরের জুন মাসে করেন আবরার। পাকিস্তানি টিভি তারকা সারা বালোচের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই তথ্য উঠে আসে। গত সপ্তাহে করাচিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পাক স্পিনার। হাই প্রোফাইল পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক শান মাসুদ, ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদি এবং অন্যান্য প্লেয়ার এবং কর্তারা। সমস্ত গেস্টকে আহ্বান জানান ২৭ বছরের পাক তারকা। ২০১৭ সালে করাচি কিংসের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগে অভিষেক হয় আবরারের। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে লাহোরে পাকিস্তান দলের সঙ্গে যোগ দেবেন আবরার। দুই টেস্টের সিরিজের জন্য সিনিয়র ব্যাটার বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানকে ডেকে পাঠানো হয়। ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সিরিজ। আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অঙ্গ এই সিরিজ। বাবর এবং রিজওয়ান এশিয়া কাপের দলে না থাকলেও, এবার শান মাসুদের দলে যোগ দিলেন। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এবার তারুণ্যের মিশেলে জোর দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচকরা। এশিয়া কাপে দুই তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই দল পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ব্যাটিং ভরাডুবির মুখে পড়তে হয়। এশিয়া কাপের তিন ম্যাচেই হার পাকিস্তানের। ফাইনালের আগে বাবর আজমকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু টুর্নামেন্টের উদ্যোক্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, শুধুমাত্র কেউ চোট পেয়ে দলের বাইরে চলে গেলে, তবেই নতুন কোনও প্লেয়ারকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। যার ফলে আর বাবরকে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
