সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ২০০১ সালে ‘রহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ দিয়ে বলিউডের চিরসবুজ প্রেমিক-নায়কের তকমা পেয়েছিলেন আর মাধবন। কিন্তু ২০২৫-এ এসে নিজেই জানিয়ে দিলেন— ‘আপ জ্যায়সা কোই’-ই হতে চলেছে তাঁর শেষ রোম্যান্টিক ছবি! নেটফ্লিক্সে সদ্য মুক্তি পাওয়া এই রোম্যান্টিক-ফ্যামিলি ড্রামা ইতিমধ্যেই দর্শকের মন জয় করেছে। এক সাক্ষাৎকারে মাধবন বললেন,“আমি এমন একটা গল্প খুঁজছিলাম, যেখানে নিজের বয়স অনুযায়ী রোম্যান্স দেখানো যায়। এটা হয়তো এরকম ছবিতে অভিনয় করার আমার শেষ সুযোগ, তাই না বলার কোনও কারণ ছিল না।”
এই ছবিতে মাধবন অভিনয় করেছেন ৪২ বছর বয়সি শ্রেনু ত্রিপাঠি-র ভূমিকায়, যিনি অভ্যেস ও সামাজিক নিয়ম -কানুনের মাঝে আটকে থাকা এক সহজ-সরল মানুষ। অন্যদিকে ফতিমা সানা শেখ হয়েছেন মধু বসু—একজন স্বাধীনচেতা, সাহসী নারী, যিনি সমাজের গণ্ডিতে নিজেকে আটকে রাখেন না। ছবির মূল বার্তা —‘বরাবার ওয়ালা প্যায়ার’, মানে যেখানে ভালবাসা হয় সমানে সমানে। কোনও দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং একে অপরের পাশে থাকার গল্প। ছবির প্রেক্ষাপট দুই শহরে ভাগ করা—জামশেদপুর ও কলকাতা। আর এই দুই চরিত্রের রসায়নের মাঝেই উঠে আসে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নানা চাপ, এক নারীর নিজস্বতা ফিরে পাওয়ার লড়াই, এবং একজন পুরুষের আবেগ প্রকাশ করার শিক্ষার গল্প।, এক চুপচাপ, গম্ভীর সংস্কৃত শিক্ষক আর প্রাণখোলা ব্যক্তিত্বের ফরাসি শিক্ষিকা মধুর প্রেমের গল্প।
অন্যদিকে, রোম্যান্স থেকে রকেট সায়েন্স, খলনায়ক থেকে থ্রিলার—মাধবন মানেই যেন বিস্ময়। ‘রেহনা হ্যায় তেরি দিল ম্যাঁয়’-এর পর মাধবনকে দর্শক ধীরে ধীরে খুঁজে পেয়েছেন নানা ঘরানার ছবিতে—‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি ইফেক্ট’, ‘বিক্রম বেদা’, এবং সাম্প্রতিক সুপারন্যাচারাল থ্রিলার ‘শৈতান’-এ তাঁর নেগেটিভ রোলও দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ধার্মাটিক এন্টারটেইনমেন্ট-এর ব্যানারে করণ জোহর, আদার পুনাওয়ালা, অপূর্ব মেহতা ও সোমেন মিশ্র প্রযোজিত এই সিনেমাটি জুলাই ১১-এ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে। অভিনেতা হিসাবে তো বটেই, মানুষ হিসাবেও আর মাধবনের বিষয়ে সাধারণত প্রশংসাই ভেসে আসে দর্শক ও তাঁর অনুরাগীদের তরফে। মাঝে মাঝেই তাঁর ছবি ঘিরে ডানা মেলে বিতর্ক, কিন্তু সেসব তিনি নিজের হাতেই সামলান। এবং অত্যন্ত নিপুণভাবে।
এদিকে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নতুন হলিউড ছবি 'হেডস অফ স্টেট' দেখে আপ্লুত আর মাধবন! ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানালেন, “তুমি যা করছো, সেটা আমাদের স্বপ্ন… আর তোমার সাফল্য যেন আমারও নিজের।” প্রিয়াঙ্কার চরিত্র ‘নোয়েল বিসে’-র পারফরম্যান্সে মুগ্ধ মাধবন।

অভিনেতার কথায়, “কী দারুণ অভিনয়! তুমি একেবারে নিজের জায়গাটা তৈরি করেছ।” এই প্রশংসার জবাবে প্রিয়াঙ্কাও ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মাধবনের পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, “ধন্যবাদ বন্ধু… তোমার উৎসাহভরা কথাগুলো সত্যিই অনেকটা মানে রাখে।” সঙ্গে জুড়লেন একটি নমস্কার ভঙ্গির হাত আর লাল হৃদয়ের ইমোজি।'হেডস অফ স্টেট' ছবিতে প্রিয়াঙ্কা হলেন এমআই ৬ (MI6) এজেন্ট নোয়েল বিসে। ছবিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে জন সিনা এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইদ্রিস এলবা—এই দুই চরিত্রের জুটি, বিশ্ববিপর্যয় থামাতে মরিয়া। পরিচালক ইলিয়া নাইশুলার। আবেগময় এই আন্তরিক মুহূর্তে বলিউড আর হলিউড যেন একসুতোয় বাঁধা পড়েছে।
