আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব নেতারা যে যাই বলুন, থামার নাম নেই রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের। পশ্চিমী দুনিয়ার চাপ নিয়ে যে রাশিয়া একেবারেই ভাবিত নয়, ফের একবার জানান দিলেন পুতিন। ইউক্রেনের উপর চলতি বছরের সবচেয়ে বড় ড্রোন এবং মিসাইল হামলা চালাল রাশিয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর আজ ৫৭৪ টি ড্রোন এবং ৪৪ টি ব্যালেস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া।

ইউক্রেনের দাবি, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল তাঁদের অস্ত্র ভান্ডার। মূলত যে অঞ্চলে ইউরোপ এবং আমেরিকা থেকে প্রাপ্ত অস্ত্র জমা রাখা হয় সেখানেই এই হামলা চালানো হয়। সরকারি ভাবে ইউক্রেন এক জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করলেও বেসরকারি ভাবে জানা যাচ্ছে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণ বেশি। ড্রোন এবং মিসাইলের সংখ্যার নিরিখে এটিই ২০২৫ সালে করা রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা।

এই হামলা ইউক্রেনকে তো বটেই, গোটা বিশ্বের উদ্দেশ্যেই রাশিয়ার বড় বার্তা হিসাবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ কিছুদিন আগেই রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলাস্কায় বৈঠক করলেন ট্রাম্প-পুতিন। আশা করা হয়েছিল বৈঠকের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ স্তিমিত হয়ে আসবে। একই ভাবে পুতিনের সঙ্গে দেখা করার পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সঙ্গেও বৈঠক করেন ট্রাম্প। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোনও প্রচেষ্টাই যেন আর সফল হচ্ছে না। রফাসূত্র তো দূর, রুশ সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট দাবি করা হয় যে, ইউক্রেন কোনও ভাবেই ন্যাটোর অংশ হবে না এবং রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়া ফেরত দেবে না রাশিয়া, কেবল এই শর্তেই যুদ্ধবিরতিতে যেতে পারেন পুতিন।

নেপথ্যে স্পষ্ট বেশ কিছু কারণ। ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত নিষেধাজ্ঞার পরেও রুশ অর্থনীতি খুব একটা দুর্বল হয়নি। ইউক্রেনকে ঘুঁটি বানিয়ে ক্রমাগত অর্থ এবং অস্ত্র সাহায্য করে গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অথচ বিপুল অর্থ এবং অস্ত্র সরবরাহ করার পরও ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন জেলেনস্কি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে এখন রাশিয়ার ইউক্রেন দখল কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন যুদ্ধকালীন অবস্থায় সরকার চালানোর ফলে জনসমর্থনও কমছে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের তো দূর, উল্টে ভারত, চীন-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে জড়িয়েছেন ট্রাম্প। ফলে আরো জটিল হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এই অবস্থায় কতদিন এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশগুলির রাষ্ট্র নেতাদের মধ্যেও।

আরও পড়ুনঃ টানতে টানতেও বেরোচ্ছিল না, 'ওইটা'র জন্য ইউটিউবের শরণাপন্ন যুবতী! ভিডিও ভাইরাল হতেই চোখ ছানাবড়া ...

এ অবস্থায় নতুন করে ইউক্রেনে এমন তীব্র হামলা চালানোর মধ্যে দিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল মস্কো, এমনই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। হামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেকেনস্কি। উল্টোদিকে হামলার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তর। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের সেনা ছাউনি এবং কারখানা লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি এই হামলায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে। ইউক্রেনের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত মার্কিন কারখানাতেও আক্রমণ করা হয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ 'এ কী চাচা এটা কী করছেন?', চারিদিকে জল থৈ থৈ, এরই মাঝে প্রৌঢ় যা করে বসলেন, দাঁড়িয়ে দেখল শহরবাসী, ভিডিও ভাইরাল