আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিডনির পিচ ঘাসে মোড়া। প্রথমদিন উইকেট দেখে সুনীল গাভাসকর বলেন, এখানে গরু চড়তে পারবে। গ্লেন ম্যাকগ্রা জানান, পিচে এতো ঘাস কোনওদিন দেখেননি। নিজেদের মাঠে সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররাও। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় টপ অর্ডারও ব্যর্থ। ব্যতিক্রম একমাত্র ঋষভ পন্থ। ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটারের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি একই পিচে খেলছেন। যেখানে বিনা লড়াইতে তাঁর সতীর্থরা একের পর এক আত্মসমর্পণ করেন। সিডনির এই পিচ ব্যাটারদের কাছে দুঃস্বপ্ন, পেসারদের পোয়াবারো। প্রথম দু'দিন ২৬ উইকেট পড়েছে। তারমধ্যে দ্বিতীয় দিন ১৫। এমন পিচে নেমেই শনিবার ঝড় তোলেন ঋষভ পন্থ। ভয়ঙ্কর পিচে খেললেন টি-২০ ক্রিকেটের মেজাজে।

মেলবোর্নে ট্রাভিস হেডের বলে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে আউট হওয়ায় চতুর্থ টেস্ট খোয়াতে হয়েছে। তার দায় বর্তায় ঋষভ পন্থের ওপর। সেই জ্বালা-যন্ত্রণা নিয়েই বোধহয় এদিন নেমেছিলেন ভারতীয় তারকা। চার, ছয়ের বন্যা বইয়ে দেন। টেস্ট খেলেন টি-২০ ক্রিকেটের মেজাজে। ৬টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে ৩৩ বলে ৬১ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে দ্রুততম অর্ধশতরানের নয়া নজির গড়েন। ভাঙেন ১২৯ বছরের রেকর্ড। দেখে মনে হয়, পন্থ সম্পূর্ণ অন্য একটি পিচে ব্যাট করছে। তাঁর খেলার প্রশংসা না করে থাকতে পারেননি শচীন তেন্ডুলকর। কঠিন পিচে সাহসী এবং আক্রমনাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য বাহবা দেন।

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মাস্টার ব্লাস্টার লেখেন, 'এমন একটা উইকেট যেখানে অধিকাংশ ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ৫০ বা তারও কম, সেখানে ঋষভ পন্থের স্ট্রাইক রেট ১৮৪, যা এককথায় অসাধারণ। প্রথম বল থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে দুরমুশ করে দিয়েছে। ওকে ব্যাট করতে দেখতে সবসময় ভাল লাগে। প্রভাবশালী ইনিংস।' প্রথম বল থেকেই কাউন্টার অ্যাটাকে যান পন্থ। প্রথম বলেই স্কট বোল্যান্ডকে ছয় মারেন। নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দেন। এইধরনের পিচে ডিফেন্ড করা কঠিন। আক্রমণে যাওয়াই হাতিয়ার। যা শুরুতে করে দেখান যশস্বী জয়েসওয়াল। প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্ককে চারটে চার মারেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। তবে পন্থের ইনিংস দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতকে ১৪৫ রানে লিড দেয়। এখনও হাতে ৪ উইকেট রয়েছে।