‘বিগ বস’-এর ‘উইকেন্ড কা ভার’-এর সাম্প্রতিক পর্বে হাসিঠাট্টা, গানের তালে জমে গেল মঞ্চ। অভিনেত্রী কুনিকা সদানন্দ এ দিন মাইক্রোফোন হাতে তুলে নিলেন এবং গেয়ে উঠলেন মিকা সিংয়ের জনপ্রিয় গান “সাওয়ান মে লাগ গয়ি আগ”। আত্মবিশ্বাসে ভরা তাঁর গানের তালে তালে নেচে উঠল মঞ্চ। দর্শকরাও উচ্ছ্বসিত। আর সেখানেই শুরু হল এক দারুণ মজার মুহূর্ত-সলমন খান আর মিকা সিংহের টিপ্পনি!
গান শেষ হতেই সলমন খান হাসতে হাসতে কুনিকাকে খোঁচা মারেন, “গানের রেওয়াজ এখনও চলছে নাকি?” কুনিকা তখনও গানের মেজাজে মজে। আর মিকা যোগ করেন, “ আরে, আপনার তো সুরের উপর দারুণ দখল, শুরু থেকেই! আপনি সুরের খুব কাছেই থেকেছেন।”
 
 মিকার এই মন্তব্যে সলমন পর্যন্ত হেসে ফেলেন, দর্শকরাও তুমুল হাসিতে ফেটে পড়েন। কারণ, কুনিকার এই 'গানের সুরের' সঙ্গে জড়িয়ে গেল অতীতের এক পুরনো সম্পর্কের গুঞ্জন-কুনিকা সদানন্দের সঙ্গে দর্শকপ্রিয় গায়ক কুমার শানুর নাম!

নয়ের দশকে বলিউডের অলিগলি সরগরম হয়েছিল তাঁদের সম্ভাব্য সম্পর্কের খবরে। যদিও দু'জনের কেউই সেই সম্পর্কের বিষয়ে কখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি, তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে বারবার একসঙ্গে তাঁদের নাম উঠে এসেছিল। সিনেমা ও মিউজিক সার্কিটের মাধ্যমেই নাকি আলাপ হয় দু’জনের। সে সময় কুনিকা ছিলেন বলিউডের পরিচিত মুখ ও সোশ্যাল সার্কিটে সক্রিয় নাম। এই পর্বে কুনিকা যদিও কুমার শানুর নাম সরাসরি মুখে আনেননি, তবুও তাঁর প্রসঙ্গ উঠে আসে সলমন–মিকার ঠাট্টার ফাঁকে, আর তাতেই তৈরি হয় এক নস্ট্যালজিক, মজাদার মুহূর্ত।
তবে এই হাসিঠাট্টার পর্বে ছিল এক বড় টুইস্টও। ডাবল এভিকশন! প্রতিযোগী বসির আলি ও নেহা চুদাসামাকে বিদায় জানালেন ‘বিগ বস’। হাউসের সদস্যরা হতবাক হয়ে গেলেন আকস্মিক এই সিদ্ধান্তে। এখন প্রতিযোগিতায় টিকে আছেন আমাল মালিক, তানিয়া মিত্তল, নীলা গিরি, মৃদুল শর্মা, কুনিকা সদানন্দ, গৌরব খান্না, অভিষেক বাজাজ, অশনুর কৌর, মালরী চাহার ও শেহবাজ।
মজার গান, পুরনো সম্পর্কের ইঙ্গিত আর চমকে দেওয়া এভিকশন; সব মিলিয়ে ‘বিগ বস’-এর এই উইকেন্ড কা ভার একদম পুরনো বলিউডি মশালায় মশলাদার!
প্রসঙ্গত, দিল্লি থেকেই কণিকার অভিনয়যাত্রা শুরু। প্রথম বড় সুযোগ পান আসরানির স্ত্রীর হাত ধরে। ছোটপর্দায় স্বাভিমান–এ ১৮ বছরের সন্তানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন। পরে বলিউডে পা রেখে খলনায়িকা ও সাহসী চরিত্রে নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করেন। ‘বেটা’, ‘গুমরাহ’, ‘খিলাড়ি’—সবখানেই ছিল তাঁর উপস্থিতি। তবে দর্শকের মনে আজও তিনি অমলিন রাজশ্রীর সুপারহিট ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’–এ রীমা লাগুর বন্ধু ‘শান্তি’ হয়ে। দীর্ঘ ২৫ বছরের কেরিয়ারে ১১০টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সলমনের সঙ্গে ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া’ এবং ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’–এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন কুনিকামাত্র ১৮ বছরেই বিয়ে, একক মায়ের সংগ্রামের জীবন কণিকার। মাত্র ১৮ বছর বয়সে দিল্লির এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন কণিকা, বয়সে যিনি ছিলেন তাঁর থেকে ১৩ বছরের বড়। বিয়ের এক বছরের মধ্যে তাঁদের সন্তানের জন্ম হলেও শ্বশুরবাড়ির যৌথ পরিবারে মানিয়ে নিতে না পেরে আলাদা হয়ে যান তিনি। ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে এসে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। সেখান থেকেই শুরু তাঁর একক মায়ের লড়াই।
