আজকাল ওয়েবডেস্ক: অ্যালার্জির সমস্যায় কমবেশি সকলেই ভোগেন। কারও কিছু নির্দিষ্ট খাবারে অ্যালার্জি থাকে। কারও আবার ফুলের রেণু, বালিশ, জামাকাপড় সহ আরও অনেক কিছু থেকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। আবার কেউ কেউ ধুলোবালির কারণে এই সমস্যায় ভোগেন। আর শীতের সময় বেশি ভোগায় এই অ্যালার্জি। শিশুরা তো বটেই, বড়রাও একইভাবে অ্যালার্জিজনিত বিভিন্ন সমস্যায় কাবু হয়ে পড়েন। যার জন্য কয়েকটি আয়ুর্বেদিক টোটকা মানলেই সহজেই রেহাই পেতে পারেন।

গরম ফুটন্ত জলে নুন মিশিয়ে তাঁর বাষ্প নিতে পারেন। এর মাধ্যমে শ্বাসনালি থেকে সমস্ত ধুলিকণা বেরিয়ে আসবে। এতে নাকও পরিষ্কার হয়ে যাবে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকেও বাঁচতে পারবেন।

হলুদ অন্যান্য অনেক রোগের মতোই ধুলোবালির অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে। গরম জলে হলুদ মিশিয়ে খেলে গলা ফুলে যাওয়া ও কাশি অনেকটাই কমে যায়। রোজ রাতে হলুদ মেশানো জল খেলে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

তুলসীর মধ্যে প্রচুর জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। যা অ্যালার্জি প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। কয়েকটি তুলসী পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে খেলে অ্যালার্জি থেকে অনেকটাই রেহাই মেলে।

অ্যালার্জির সমস্যায় আদার ব্যবহার করতে পারেন। আদা ও মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে। রোজ সকালে খালি পেটে এক চামচ মধুতে আদার রস মিশিয়ে খেতে হবে। ৮ থেকে ১০ দিন টানা খেলে উপকার পাবেন।

অ্যালার্জি প্রতিরোধে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করতে হবে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্ধচন্দ্রাসন, পবনমুক্তাসন, সেতুবন্ধাসন ও ব্রুক্ষাসন অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। এছাড়া, নিয়মিত প্রাণায়াম করলেও এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই মেলে।