‘পরশুরাম আজকের নায়ক’-এ নয়া মোড়। তটিনী এবং পরশুরাম ওরফে শিবপ্রসাদের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন। খলনায়িকার নাম শীতল। স্ত্রীকে দূরে ঠেলে সেই শীতলের গলায় মালা দিচ্ছে পরশুরাম। ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য বলছে, সবটাই নায়কের পেশার খাতিরে। তবু কি ভুল বোঝাবুঝি থেমে থাকে! স্বামীকে ফিরিয়ে আনার জন্য তটিনী কি কৌশল অবলম্বন করবে, সেটাই এখন দর্শকের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ।
শুরু থেকেই দর্শকমহলে নিজের জায়গা পোক্ত করে ফেলেছে ‘পরশুরাম’। টিআরপি তালিকাতেও আগাগোড়া সেই ছাপ স্পষ্ট। একটানা ‘বেঙ্গল টপার’-এর শিরোপা পেয়েছে এই ধারাবাহিক। পারিবারিক গল্পের সঙ্গেই থ্রিলার-অ্যাকশনের যুগলবন্দিকে ভালবেসেছে দর্শক। বাংলা ধারাবাহিকের চিরাচরিত গল্পের বাইরে এ যেন কিছুটা স্বাদবদল! তবে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনে কি সেই গতে বাঁধা ত্রিকোণ প্রেমের দিকেই ঘুরে যাবে গল্পের অভিমুখ? প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ‘তটিনী’ তৃণা সাহার কাছে। নায়িকার উত্তর, “এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। গল্প আমি লিখছি না। কনসেপ্টও আমার নয়। আমাকে যতটুকু বলা হয়েছে, ঠিক ততটুকুই করছি। তবে আমার মনে হয়, যাঁরা গল্প লিখছেন, নিশ্চয়ই কিছু একটা ভেবেই লিখছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা অনেকগুলো হিট দিয়েছেন। তাই আমার মনে হয় এই নিয়ে আমাদের কিছু বলা উচিত নয়। বাকিটা সময় বলবে।”
টিআরপি তালিকায় প্রথম তিনের মধ্যে দাপট দেখিয়েছিল ‘পরশুরাম’। তবে গত সপ্তাহে নিজের অবস্থান হারিয়েছে স্টার জলসার এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক। প্রতিযোগিতায় তার স্থান নেমে এসেছে চতুর্থ স্থানে। এই প্রসঙ্গে তৃণা বললেন, “একজন শিল্পী হিসাবে অবশ্যই এতে বিচলিত হয়েছি। তবে এত বছর কাজ করার পর এই জিনিসগুলোকে নিয়ে আর এত ভাবি না। কারণ টিআরপির ওঠাপড়ার জন্য শিল্পীরা দায়ী নন। দর্শকরা কখন কী ভালবাসবেন, কখন কী দেখতে চাইবেন, সেটা আমরা বলতে পারব না। আমাদের যতটুকু করতে বলা হয়, আমরা ততটুকু করি। বাকিটা নির্ভর করে দর্শক এবং যাঁরা গল্প লিখছেন, তাঁদের উপর। সবকিছুরই ওঠানামা আছে। একটা ধারাবাহিক সব সময় এক নম্বরে থাকবে, এমন হয় না। আশা করি আবার আমাদের ধারাবাহিক আবার এক নম্বরে আসবে।”
ইঁদুরদৌড়ে নিজেক শামিল করতে চান না তৃণা। ট্রোল-কটাক্ষকও গায়ে মাখেন না আর। শুধু নিজের কাজটুকু করে যেতে চান মন দিয়ে। তাঁর কথায়, “যে সমালোচনা আমাকে উন্নতি করতে সাহায্য করবে, তা অবশ্যই শুনব। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই মানসিক শান্তি নষ্ট করে দেওয়ার জন্য নানা কটূক্তি করা হয়। সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবি না। শুধু নিজের কাজটা মন দিয়ে করে যেতে চাই।”
