আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান মহারণকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শেষ নেই। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, এই ম্যাচ বয়কট করা উচিত। ওয়াসিম আক্রম মনে করেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত খেলুক বা না খেলুক, খেলে চালু রাখা উচিত। আক্রম বলেন, 'এশিয়া কাপের সূচি প্রকাশিত হয়েছে। এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে পাকিস্তানে এই বিষয়ে আমাদের কোনও হেলদোল নেই। ম্যাচ হোক বা না হোক, আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে খেলাটা হওয়া উচিত।' এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে দুই দেশের রাজনৈতিক মহল অশান্ত হলেও, কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই আক্রমের। বরং, আরও একধাপ এগিয়ে আরও একটি আশার বাণী শোনান। ভবিষ্যতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে টেস্ট সিরিজের আশা করছেন পাক কিংবদন্তি। আক্রম বলেন, 'বেঁচে থাকতে থাকতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে টেস্ট সিরিজ দেখতে চাই। রাজনীতি আলাদা। আমি রাজনীতিবিদ নই। ওরা দেশপ্রেমিক। আমরাও স্বাদেশিক। তাই এই নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ না করাই ভাল। নিজেদের দেশের গৌরব নিয়েই কথা বলা ভাল। তবে বলা যতটা সহজ, করা ততটা নয়।' 

৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই এবং আবু ধাবিতে হবে এশিয়া কাপ। আট দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ এ-তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ওমান। গ্রুপ বি-তে আছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং হংকং। আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত আয়োজক হলেও, বিসিসিআই এবং পিসিবির চুক্তি অনুযায়ী, পরের তিন বছর টুর্নামেন্ট নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হবে। দুবাইয়ে ১১টি ম্যাচ হবে। আবু ধাবিতে আটটি। ৯ সেপ্টেম্বর আবু ধাবিতে আফগানিস্তান এবং হংকং ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপের উদ্বোধন। ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু ভারতের। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান মহারণ। ১৯ সেপ্টেম্বর আবু ধাবিতে ওমানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। দুই গ্রুপের সেরা চারটে দল নিয়ে সুপার ফোর। ভারত গ্রুপ এ-র একনম্বর দল হিসেবে শেষ করলে, তাঁদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে হবে। দ্বিতীয় হলে, দুটো দুবাই, একটা আবু ধাবিতে হবে। ২০ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর হবে সুপার ফোরের ম্যাচগুলো। ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ফাইনাল। 

প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার মুখে বিসিসিআই। ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি। পরের রাউন্ডে গেলে আবার সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পর দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হওয়া এড়ানো যেত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। কিন্তু লিজেন্ডসদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। একাধিক ভারতীয় প্লেয়ার ম্যাচ খেলতে বেঁকে বসে। যার ফলে ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। সেমিফাইনালেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে চায়নি ভারত। ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্সরা না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও খেলতে চায়নি ভারতীয় কিংবদন্তিরা। পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করেন যুবরাজ সিং, শিখর ধাওয়ান, ইউসুফ পাঠান, ইরফান পাঠান, পীযূষ চাওলারা।‌ একই পরিণতি সেমিফাইনালের। মাঠে নামেনি ভারতীয় দল। ফলে ফাইনালে চলে যায় পাকিস্তান। এশিয়া কাপে অবশ্য তেমন সম্ভাবনা নেই। যাই হোক না কেন, সেটা আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে যাবে।