আল নাসর ২ (কামারো,অ্যাঞ্জেলো)

এফসি গোয়া ১ (ব্রাইসন)

 

আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিন সেন্টার ব্যাক নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন আল নাসর কোচ জর্জ জেসুস। ভেবেছিলেন গ্রুপের সবথেকে দুর্বল দল এফসি গোয়াকে সহজেই হারিয়ে দেবেন। শুরুটাও হয়েছিলে সেরকম ভাবেই।

প্রথম আধঘণ্টা মাঝমাঠ পর্যন্তও বল যায়নি। পুরো খেলাটা হচ্ছিল গোয়ার বক্সেই। তার মধ্যে চলে এল দুটো গোলও। ফলে, একসময় জেসুসের স্ট্যাটেজি ঠিকঠাকই লাগছিল। কিন্তু তারপর থেকে এফসি গোয়ার ফুটবলাররা যে লড়াইটা লড়লেন তাকে স্যালুট জানালেও কম বলা হয়।

এমনকি, সাদিও মানে, জোয়াও ফেলিক্সের মতো তারকাদের নামিয়েও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারল না আল নাসর। উল্টে, এফসি গোয়া একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচ ড্র হতেই পারত।

এদিন সাদিও মানে, জোয়াও ফেলিক্সদের মতো তারকাদের বেঞ্চে রেখেই প্রথম একাদশ নামিয়েছিল আল নাসর। তবে দলে ছিলেন সদ্য বার্সেলোনা ছেড়ে আসা ডিফেন্ডার ইনিগো মার্টিনেজ। ওপরে দুই বিদেশি আর গোলে বেন্টো ছাড়া বাকিরা দেশীয় ফুটবলার।

ম্যাচের শুরু থেকেই পুরোদমে প্রেসিং করছিল আল নাসর। একের পর এক বল এসে পড়ছিল গোয়ার বক্সে। কোনওরকমে ক্লিয়ার করলেও প্রেসিং আটকানো যাচ্ছিল না। আর আল নাসর প্রথম গোল পায় সেই প্রেসিংয়েই।

১০ মিনিটের মাথায় জোরালো গ্রাউন্ডারে আল নাসরকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান অ্যাঞ্জেলো। কিছুই করার ছিল না কিপার ঋত্বিক তিওয়ারির। এক গোলে পিছিয়ে পড়লেও আক্রমণের খুব একটা সুযোগ আসেনি গোয়ার কাছে।

প্রথম কোয়ার্টারেই চোট পেয়ে বসে যান এফসি গোয়া ফরোয়ার্ড সিভেরিও। তাঁর জায়গায় ব্রাইসন আসেন। ২৭ মিনিটে কামারোর গোলে ব্যবধান বাড়ায় আল নাসর। তারপর থেকে আর গোয়ার ডিফেন্স ভাঙতে পারেনি সৌদির ক্লাব।

৪১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দুরন্ত গোলে ব্যবধান কমান ব্রাইসন। বাড়ানো বল নিয়ে দুরন্ত গতিতে ঢোকেন আল নাসরের বক্সে। ড্রিবলে মাটি ধরান আমরিকে। সেন্টার ব্যাক ইনিগো পা বাড়ালে তা কাজে আসেনি। গোল করে বেরিয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন: ‘একটু কোলে নেব?’ তারপরেই সদ্যোজাতকে নিয়ে চম্পট মহিলার, শ্রীরামপুরের হাসপাতালে শোরগোল

২-১ গোলে পিছিয়ে থাকলেও গোটা স্টেডিয়াম এদিন তাদের দলের লড়াইকে কুর্নিশ জানায়। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন করেন মানেলো মার্কুয়েজ। চেষ্টা করেন গতিতে পরাস্ত করে কাউন্টার অ্যাটাকে যদি গোল আসে।

সেই সুযোগও এসেছিল। ড্র্যাজিক এবং বরিস দুবার ফাঁকা পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইড হয়ে তা বাতিল হয়ে যায়। সাদিও মানে, জোয়াও ফেলিক্সকে নামিয়ে ফের আক্রমণে যায় আল নাসর।

কিন্তু সন্দেশ ঝিঙ্গন, আল মোরেনোদের পরাস্ত করতে পারেনি হেভিওয়েট ক্লাব। বিগ বাজেটের এই ক্লাবের বিরুদ্ধে গোয়া হারলেও খেলার শেষে তাদের লড়াইকে কুর্নিশ জানালেন সমর্থকরা।

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-এর মঞ্চে এই প্রথম কোনও ভারতীয় ক্লাব গোল পেল। মোহনবাগান দু'বার খেলেও কোনও গোল করতে পারেনি। গোয়াও আগের দুটি ম্যাচে গোল না পেলেও এদিন গোল পেলেন ব্রাইসন।