আজকাল ওয়েবডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে  ফেরার জন্য বাবর আজমকে পরামর্শ দিয়েছিলেন কোচ মাইক হেসন। 

স্ট্রাইক রেট উন্নতি করার কথা বলেছিলেন পাক কোচ। কিন্তু বাবর  আজম স্ট্রাইক রেটের বিশেষ কোনও উন্নতি না ঘটিয়েও দলে ডাক পেলেন। টপ অর্ডারে বাকিদের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে ডাকা হল বাবর আজমকে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও তার পরে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাকিস্তান দল ঘোষণা করা হয়েছে। সেই দলে রাখা হয়েছে বাবর আজমকে। বাবর ফিরলেও ফেরানো হয়নি মহম্মদ রিজওয়ানকে। 

আরও পড়ুন: জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন এই ভারতীয় অলরাউন্ডার, কোন পজিশনে খেলবেন তাও নাকি ঠিক করে ফেলেছেন...

কোন পজিশনে খেলবেন বাবর আজম? কোচ মাইক হেসন জানিয়েছেন তারকা ব্যাটার তিন নম্বরে খেলবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা যাবে বাবর আজমকে। প্রায় এক বছর পরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে তাঁর। 

রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান। ১৯৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলটা হেরেছে ৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। তবে এই ম্যাচে স্পটলাইট ছিল বাবর আজমের ওপর। তিনি ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে অবশ্য রানের খাতাই খুলতে পারেননি। পাকিস্তানকে বড় হারের মুখে ঠেলে দিয়েছিল বিষয়টা। 

বড় রান তাড়া করতে নেমে ৩ নম্বরে নেমেছিলেন বাবর। ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ২৪ রান করে আউট হওয়ার পরই তিনি মাঠে নামেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার করবিন বশের করা বলটি ব্যাটে-বলে মেলাতে পারেননি বাবর। 

অফস্টাম্পে করা লেন্থ বলটি ব্যাটে লেগে সোজা চলে যায় কভারে দাঁড়ানো রিজা হেনড্রিকসের হাতে। মাত্র দুই বল খেলে বিদায় নেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার।

দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতেই বাবরকে হারায়। ফলে দলের আশা অনেকটাই কমে যায়।

তার আগে রিজা হেনড্রিকসের ৪০ বলে ৬৬, টনি ডি জর্জির ১৬ বলে ৩৩ আর জর্জ লিন্ডার ২২ বলে ৩৬ রানের ঝড়ে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়ে ১৯৩ রানের পাহাড়। জবাবে পাকিস্তান ভালো করতে পারেনি আদৌ। জবাবে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন সাইম আইয়ুব (২৮ বলে ৩৭) আর মোহাম্মদ নওয়াজ (২০ বলে ৩৬), তবে সেটা পাকিস্তানকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি।

আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বৃষ্টির ভ্রুকুটি, পুরো ম্যাচ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা