ইস্টবেঙ্গল-২ ডেম্পো-২
(মহেশ, মিগুয়েল) (মহম্মদ আলি, রানে)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপার কাপের শুরুটা একেবারেই ভাল হল না ইস্টবেঙ্গলের। ডেম্পোর সঙ্গে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ জিততে পারল না অস্কার ব্রজোঁর দল। খেলা শেষ হল ২-২ গোলে।মাঠের বাইরের ঘটনা কি প্রভাবিত করল ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সকে?
লাল-হলুদ গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার কোচ অস্কার ব্রজোঁর রাতের ঘুম কেড়ে নিলেন বলে দেওয়াই যায়। প্রথম গোলটা হজম করলেন ভুল আউটিংয়ে। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও তিনি কুলকিনারা করে উঠতে পারলেন না। সাইডলাইনের ধারে দাঁড়িয়ে অস্কারকে মাথা নাড়তে দেখা গেল হতাশায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে এসে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই মহিলা ক্রিকেটার, গ্রেফতার অভিযুক্ত...
এই ডেম্পোর আগের সেই সুদিন আর নেই। স্বদেশি ব্রিগেড নিয়ে খেলতে নেমে ডেম্পো ইস্টবেঙ্গলকে শিক্ষা দিয়ে গেল। গোল করেও সেই গোল ধরে রাখা গেল না। দেবজিৎ মজুমদার বারের নীচে অস্কারকে স্বস্তি দিতে পারলেন না। স্বস্তি দিতে পারলেন কোথায় হিরোশি। তাঁর শটও তো শুরুতেই বারে লেগে প্রতিহত হয়।
ভাগ্য বিড়ম্বিত মিগুয়েল অবশেষে গোল পেলেন। তিনি একসময়ে লাল-হলুদকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর বাকি সতীর্থদের মধ্যে জেতার ইচ্ছাই দেখা গেল না। এই ডেম্পোই যদি কঙ্কাল বের করে দেয়, তাহলে বাকি ম্যাচে কী হবে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইস্ট-মোহন মুখোমুখি হবে। বলে দেওয়াই যায় শুরুতেই কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ব্যাকফুটে।
ডুরান্ড কাপ থেকে শুরু হয়েছিল ব্রাজিলীয় তারকা মিগুয়েলের খারাপ সময়। কখনও পোস্ট, কখনও বারে লেগে প্রতিহত হয়েছিল তাঁর প্রয়াস। শিল্ডেও ভাগ্যদেবী তাঁর সঙ্গ দেয়নি।
সুপার কাপে এসে মিগুয়েল গোল পেলেন। মিগুয়েল এদিন বাঁ পায়ে জাল কাঁপালেন ডেম্পোর। এগিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গলকে ২-১-এ। কিন্তু তখনও কি বোঝা গিয়েছিল ম্যাচের রাশ হাত থেকে বেরিয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গলের!
এদিন সুপার কাপের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলকে ইস্টবেঙ্গল-সুলভ দেখায়নি। দেবজিৎ মজুমদার গোল আগলাচ্ছিলেন। তাঁরই হতশ্রী আউটিংয়ে প্রথম গোল হজম করে বসে ইস্টবেঙ্গল। শিল্ড ফাইনালের টাইব্রেকারে এই দেবজিৎকে মাঠে পাঠানো নিয়ে ভিসুভিয়াস জেগে উঠেছিল লাল-হলুদে। কোচ অস্কার ব্রুজোঁর সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল শিবির ছেড়ে চলে আসেন সন্দীপ নন্দী। সেই দেবজিৎ এদিন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না।
ডেম্পোর সেই সুদিন আর নেই। দেশীয় ব্রিগেড নিয়ে নামা ডেম্পো প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের নাভিশ্বাস তুলে দেয়। গোল করেও এগিয়ে যায়। লাল-হলুদ ম্রিয়মান তখন। কোনও কামড় নেই, ঠিকানা লেখা কোনও পাস নেই, দূরপাল্লার দুর্দান্ত শট নেই। নেই নেই কিছু নেই। কারও মধ্যে সেই তাগিদ নেই।
দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে মিগুয়েলকে মাঠে পাঠান অস্কার। বিরতির পরেই ইস্টবেঙ্গল সমতা ফেরায়। মিগুয়েলের শট প্রতিহত হয়ে ফিরে এলে ফিরতি বল ডেম্পোর জালে পাঠান মহেশ। তার পরেই মিগুয়েলের সেই দুর্দান্ত গোল। লালচুননুঙ্গার দেওয়া বলটা পেয়েই বাঁ পায়ে কামান দাগলেন মিগুয়েল। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ২-১। কিন্তু সেই গোলও ধরে রাখতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। রানের গোলে ডেম্পো ৮৮ মিনিটে সমতা ফেরায়। এক্ষেত্রেও দেবজিৎ মজুমদারকেই কাঠগড়ায় তুলতে পারেন নিন্দুকরা। ডেম্পোর সঙ্গে ম্যাচ ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপে পরের পর্বে পৌঁছনো নিয়ে কিন্তু শুরু থেকেই চিন্তা ঢুকে গেল ইস্টবেঙ্গল শিবিরে।
আরও পড়ুন: 'জানি না আর আসব কিনা..', তাঁর আর কোহলির শেষ সফর জানিয়ে দিলেন রোহিত
