আজকাল ওয়েবডেস্ক:মারাত্মক চাপ মাথায় নিয়ে সিডনিতে খেলতে নেমেছিলেন হর্ষিত রানা। তাঁকে বলা হত গৌতম গম্ভীরের ইয়েসম্যান। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা পর্যন্ত হর্ষিত রানার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি মুখে কোনও কথা বলেননি। অপেক্ষায় ছিলেন রানা। বেছে নিয়েছিলেন বড় মঞ্চ।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড সেই প্ল্যাটফর্ম। চার-চারটি উইকেট নেন তিনি। পারথ ও অ্যাডিলেডে ভাল পারফরম্যান্স তুলে ধরতে পারেননি হর্ষিত রানা। মাঠে নামার আগে গম্ভীরের কড়া বার্তা হর্ষিত রানাকে তাতিয়ে দিয়েছিল। গম্ভীর বলেছিলেন, ''পারফর্ম কর, নইলে বসিয়ে দেবো তোকে।'' সিডনিতে রানা কোচ গম্ভীরের কথা রেখেছেন। গম্ভীরের মান রাখলেন হর্ষিত রানা। সিডনিতে নিলেন চার উইকেট। ৮.‌৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে চার উইকেট তুলে নিলেন হর্ষিত। রান দিয়েছেন ৩৯। তাঁর শিকারের তালিকায় অ্যালেক্স ক্যারি, কুপার কনোলি, মিচেল ওয়েন ও জশ হ্যাজলেউড। 

আরও পড়ুন: মহিলাদের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ কে? প্রকাশ্যে এল তা ...

ভাল শুরু করেও অস্ট্রেলিয়া থেমে গেল ২৩৬ রানে। খেলতে পারল না পুরো ওভারও। ৪৬.‌৩ ওভারেই শেষ মার্শদের ইনিংস। শুরুটা কিন্তু ভালই করেছিলেন মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড। শুরুর দু’‌ওভার দেখে নিয়ে এরপর চালাতে শুরু করেন মার্শ ও হেড। কিন্তু দলীয় ৬১ রানের মাথায় ফিরে যান হেড (‌২৯)‌। মার্শ (‌৪১)‌ যখন ফেরেন তখন রান ৮৮। অ্যাডিলেডে অর্ধশতরান করা ম্যাথু শর্ট (‌৩০)‌ রান পাননি। দলের হাল ধরেন ম্যাট রেনশ (‌৫৬)‌ ও অ্যালেক্স ক্যারি (‌২৪)‌। কিন্তু রেনশ ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল অজিদের ইনিংস। ১৯৫/‌৫ থেকে ২৩৬ রানে শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস।

এহেন হর্ষিত রানাকে নিয়ে কালি খরচ হয়েছিল সাংবাদ মাধ্যমে। তিনি গৌতম গম্ভীরের ইয়েসম্যান হওয়ায় দলে জায়গা পান বলে শোনা গিয়েছিল। এদিন হর্ষিত রানা সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন। এদিন তিনি শুভমান গিলের কথা না শুনে রোহিত শর্মার কথা শোনেন। সে কথা নিজেই জানিয়েছেন রানা। হর্ষিত রানাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কার উইকেট নিয়ে তিনি বেশি খুশি হয়েছেন? ভারতের অলরাউন্ডারের বক্তব্য, ''মিচ ওয়েনের উইকেটটা ফেভারিট। আমি গল্পটা বলছি আপনাদের। শুভমান গিল আমাকে স্লিপ দিতে চেয়েছিল। আমি বলে দিই, স্লিপের দরকার নেই। রোহিত ভাইয়া দাঁড়িয়েছিলেন কভারে। আমাকে বলে ওঠেন, স্লিপ নিয়ে নে। আমি যাচ্ছি স্লিপে। আমি মেনে নিই। বলি ঠিক আছে ভাইয়া, আপনি দাঁড়ান। আমি উইকেটটা পাই।''

৩৮-তম ওভারে রানার ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ তোলেন ওয়েন। রোহাতি ক্যাচটি ধরেন। উইকেট পাওয়ার পরে রানার দিকে রোহিত আঙুল তুলে হাসেন। তাঁর পরামর্শ যে সঠিক ছিল, সেটা ইঙ্গিতে বোঝান রোহিত। নেতৃত্ব চলে যেতে পারে রোহিতের হাত থেকে কিন্তু তাঁর অভিজ্ঞতা নব্য তারকাদের কাজে লাগছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সেটাই দেখা গেল। 

আরও পড়ুন: 'ওর স্বভাবই এরকম, দোষ চাপিয়ে দেয় অন্যের ঘাড়ে...', অস্কার-সন্দীপ ইস্যুতে বিস্ফোরক ক্লেটন ...