আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল সিরিজ হেরে বলছেন, ২৬৪ রান কম ছিল না। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের জন্যই ম্যাচটা হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। কথায় বলে ক্যাচ ধরো, ম্যাচ জেতো। ভারত ক্যাচ ছেড়েই ম্যাচ হারল বলে মনে করেন গিল।
ম্যাথু শর্ট দু'বার জীবন ফিরে পান। একবার তাঁর ক্যাচ ছাড়েন অক্ষর প্যাটেল। আরেকবার মহম্মদ সিরাজ। নীতীশ কুমার রেড্ডি ছাড়েন ট্রাভিস হেডের ক্যাচ। তবে তাতে বেশি ক্ষতি হয়নি ভারতের। কারণ হেড এদিন বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু শর্টের ক্যাচ ছেড়ে দেওয়াটা ভারতকে খাদের কিনারায় ঠেলে দেয়। ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল আলাদা করে কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে ক্যাচ হাতছাড়া করা এই তিন ক্রিকেটারের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'শুধু কি অ্যাডিলেড নাকি সবার জন্য...', ব্যর্থতার দিনে কোহলির 'অঙ্গভঙ্গি' নিয়ে শুরু চরম জল্পনা ...
শুভমান গিল বলেছেন, ''রান আমাদের ঠিকই ছিল। কিন্তু ক্যাচ ছা়ড়লে এই রান নিয়ে বেশিদূর অগ্রসর হওয়া যায় না। বল পুরনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উইকেট ভাল হয়ে গিয়েছিল। প্রথম ম্যাচে টসটা গুরুত্বপূর্ণ হলেও এদিন তা ছিল না। দুটো দলই পঞ্চাশ ওভার খেলেছে। প্রথম ইনিংসের ১০-১৫ ওভারের পরে উইকেট ভাল হয়ে গিয়েছিল।''
বৃদ্ধ সিংহরা দলে ফিরতেই ভারত হারের মুখ দেখল। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা ভাল হল না শুভমন গিলের।
ইংল্যান্ডের মাটিতে তরুণ তুর্কিদের নিয়ে গিয়ে রুদ্ধশ্বাস টেস্ট সিরিজ ড্র করে দেশে ফিরেছিল গৌতম গম্ভীরের দল। রানির দেশে দুর্দান্ত টেস্ট সিরিজ ড্র করা ছিল গিলের 'শুভ' শুরু।
এশিয়া কাপেও অপেক্ষাকৃত তরুণ দল নিয়ে সূর্যোদয় দেখা গিয়েছিল। এশিয়াসেরা হয়েছিল ভারতীয় দল। অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সূর্যকুমার যাদবের দল। আর স্যর ডনের দেশে দুই 'বুড়ো ঘোড়া' রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি দলে ফিরলেন। কিন্তু অজিদের কাছে সিরিজ হারতে হল গিলের ভারতকে। এই সিরিজেই যে গিলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ভারতের ওয়ানডে দলের রিমোট কন্ট্রোল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ফলাফল একন ২-০। শেষ ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পারথে ভরাডুবি ঘটেছিল ভারতের। বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডেও হার মানল ভারত। তার ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ পকেটস্থ করল অস্ট্রেলিয়া। রোহিত শর্মা এদিন ব্যাট হাতে উজ্জ্বল। কিন্তু কোহলি ব্যর্থ। দুই তারকা একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারলেন না একটি ম্যাচেও।
কোহলি রান না পাওয়ায় নিজেকে বিপন্নই করলেন। অন্যদিকে রোহিত এদিন রান পাওয়ায় তাঁর বুকের উপরে চেপে থাকা পাষাণ কিছুটা হলেও সরালেন। এর পরেও নিশ্চয়তা নেই মুম্বইকর ওয়ানডে দলে নিয়মিত ভাবে খেলে যাবেন। ঠিক যেমনটা কোহলির ক্ষেত্রেও বলা যাচ্ছে না। এদিন তিনি খাতা না খুলে ফেরায় অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করে দেন কোহলির কেরিয়ার কি শেষের পথে?
আরও পড়ুন: স্ট্রাইক রেটের উন্নতি ঘটাতে বলেছিলেন হেসন, বাকিদের ব্যর্থতায় পাক দলে ফিরলেন এই তারকা
