আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০১২ সালের পর ২০২৫। ঘরের মাঠে ফলোঅন করানোর পরেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে হল ভারতকে। এর আগে ভারত সেই আমেদাবাদে ইংল্যান্ডকে ফলোঅন করানোর পরেও ব্যাট করতে নেমেছিল। আর সেই টেস্ট ধরলে ভারত আটটি টেস্ট ফলোঅন করিয়ে জিতেছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুটি টেস্ট ড্র হয়েছে। কিন্তু আর ব্যাট করতে নামতে হয়নি।
এবার অবশ্য ভারতকে জিততে হলে করতে হবে ১২১ রান। তার মধ্যে ৬৩ রান তুলে ফেলেছে ভারত। শেষ দিন চাই আর মাত্র ৫৮ রান। এক ঘণ্টার মধ্যেই ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
তবে প্রশ্ন উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফলো–অন করানোর সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিল? দিল্লির এই ‘মরা’ পিচে পাল্টা ভালই লড়াই চালালেন ক্যারিবিয়ানরা। তাতে হয়তো ম্যাচ বাঁচাতে পারবে না। কিন্তু শাই হোপসদের ব্যাটিংয়ে ১২ বছর পর ঘরের মাঠে গর্বের দৌড় থামল গৌতম গম্ভীরের দলের। ৩ উইকেট তুললেও লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে পারলেন না কুলদীপ যাদব।
তৃতীয় দিনের শেষে ক্যাম্পবেল–হোপের ব্যাটে ইনিংসে হার এড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই স্বপ্ন সত্যি হল। ক্যারিবিয়ান ওপেনার ক্যাম্পবেলের ১৯৯ বলে ১১৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি চার, ৩টি বিশাল ছক্কায়। অন্যদিকে শাই হোপও লড়াই চালিয়ে যান। মহম্মদ সিরাজ তাঁকে ১০৩ রানে আউট করেন।
শেষবেলায় মাটি কামড়ে পড়েছিলেন জাস্টিন গ্রিভস। শেষ পর্যন্ত ফলোঅনের গেরো কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯০ রান করে। ভারতের জন্য লক্ষ্য রাখে ১২১ রানের।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট কুলদীপ যাদব ও জসপ্রীত বুমরার। ২ উইকেট মহম্মদ সিরাজের। কুলদীপ অবশ্য ১০৪ রান দেন। এই প্রথমবার টেস্টের এক ইনিংসে ১০০ রান দিলেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার।
তবে এটা ঘটনা, দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথম দু’দিন পিচে যতটা ঘূর্ণি ছিল, ম্যাচের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আর দেখা যায়নি। দিল্লির পিচ হয়ে গিয়েছে স্লো। সেই কারণে স্পিনারদের বল ঘুরলেও সেই বলে গতি ছিল না। ভারতীয় বোলাররা প্রায় টানা আড়াই দিন বল করলেন। ক্লান্তিও একটা সমস্যা হতে পারে।
