আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহিলাদের বিশ্বকাপে ভারতের কাছে মরণবাঁচন ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে বেঁচে থাকবে স্বপ্ন। সেই ম্যাচে প্রতীকা রাওয়াল নজির গড়লেন। সেঞ্চুরি হাঁকালেন কিউয়িদের বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপে এটাই তাঁর প্রথম শতরান। 

বিশ্বকাপে দু'টি দলই খেলেছে পাঁচটি করে ম্যাচ। জিতেছে দুটিতে। অর্থাৎ দুই দলেরই পয়েন্ট চার। যে দল জিতবে, সেই দলই শেষ চারের পথে পা বাড়াবে। আর হেরে যাওয়া দলের সামনে থাকবে হাজারো পারমুটেশন-কম্বিনেশন। 

আরও পড়ুন:  টানা দু' ম্যাচে ডাক, কোহলির কেরিয়ার কি শেষের পথে?

টানা তিন ম্যাচ হেরেছ ভারত। নিউজিল্যান্ডের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ ম্যাচ। কিন্তু তিন ম্যাচ হেরে যাওয়া ভারতকে দেখে মনে হয়নি তারা চাপে রয়েছে। উল্টে কিউয়িদের বিরুদ্ধে ভারতের ব্যাটাররা বেশ দাপটের সঙ্গেই ব্যাট করলেন। নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি। এদিন ভারতীয় ব্যাটারদের ব্যাটের রানের বৃষ্টি। 

টস জিতে এদিন প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় কিউয়িরা। স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল ভারতকে মজবুত প্ল্যাটফর্মে বসিয়ে দেন। স্মৃতি মান্ধানা সেঞ্চুরি হাঁকান। তিনি ও প্রতীকা মিলে ২১২ রান জোড়েন। মান্ধানা ফেরেন ১০৯ রানে। স্মৃতি ফিরে গেলেও প্রতীকা কিন্তু টিকে থেকে ভারতকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করেন। সেঞ্চুরি করেন তিনি। 

২৫ বছরের ভারতীয় ওপেনার তাঁর কেরিয়ারের ২৩-তম ম্যাচ খেলছেন। এই ফরম্যাটে ১০০০ রান পূর্ণ করলেন তিনি। গত বছর ভাদোদরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। তার পর থেকে স্বপ্নের দৌড় চলছে প্রতীকার। 

এক হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছতে প্রতীকার লেগেছে ২৩টি ইনিংস। তিনি এবং অস্ট্রেলিয়ার লিন্ডসে রিলার এক হাজার রানের মাইলফলক ছুতে  যুগ্মভাবে দ্রুততমা। ৩৭ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন প্রতীকা। 

একুশ শতকে রাওয়ালই দ্রুততমা খেলোয়াড়। মেঘ ল্যানিং ও নিকোল বল্টনের যুগ্মভাবে করা রেকর্ড ভাঙলেন ভারতের মেয়ে। 

দ্রুততমা মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে মিতালী রাজের রেকর্ডও ভাঙলেন প্রতীকা। প্রাক্তন ক্রিকেটার মিতালী ২৯টি ইনিংস নিয়েছিলেন এই মাইলস্টোনে পৌঁছতে। 

পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে শুভমান গিল ১৯টি ইনিংস নিয়েছিলেন এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে। বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানের লেগেছিল ২৪ টি ইনিংস। 

এর আগে চলতি বছর ৮টি ইনিংসে ৫০০ রান করে প্রতীকা রেকর্ড গড়েছিলেন। এই রানও তিনি করেন দ্রুততমা হিসেবেই। ইংল্যান্ডের শার্লট এডওয়ার্ডস ৯টি ইনিংসে পাঁচশো রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন।  এদিন প্রতীকা থামেন ১২২ রানে। ভারতের রান তখন ২ উইকেটে ২৮৮। বড় মঞ্চে বসিয়ে দেন তিনি। জেমাইমা রডরিগজও যথাসময়ে হয়ে ওঠেন আগ্রাসী। ভারতের ইনিংসের ৪৮ ওভারে বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময়ে জেমাইমা ৬৯ রানে ব্যাট করছিলেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর (১০)। ভারতের রান ছিল ২ উইকেটে ৩২৯। 

আরও পড়ুন:  'বুড়ো ঘোড়া'রা দলে ফিরতেই ব্যর্থ ভারত, ডনের দেশে ওয়ানডে সিরিজ খোয়ালেন গিল