আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিডনিতে ক্যাচ ধরতে গিয়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। রক্তক্ষরণ হচ্ছ। তিনি রয়েছেন আইসিইউতে। এই পরিস্থিতিতে ছেলের পাশে থাকতে চান মা–বাবা। আর তাই তাঁদের দ্রুত অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সিডনির একটি হাসপাতালের আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভারতীয় ব্যাটার। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তাঁকে।
এটা ঘটনা, শ্রেয়সের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে তাঁর পাশে থাকতে চাইছেন বাবা সন্তোষ আইয়ার এবং মা রোহিনী আইয়ার। তাঁরা জরুরি ভিসার আবেদন করেছেন। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘ওঁদের দ্রুত সম্ভব অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর সব চেষ্টা করা হচ্ছে। মা–বাবা দু’জনেই যেতে পারবেন কিনা, এখনও নিশ্চিত নয়। তবে হাসপাতালে শ্রেয়সের কাছে পরিবারের কারও এক জনের থাকা প্রয়োজন। রবিবারই শ্রেয়সের বোনের সিডনি যাওয়ার কথা ছিল। কাগজপত্রের কাজও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্রেয়সের মা–বাবার এক জন তাঁর সঙ্গে যাবেন। তাই শ্রেয়সের বোন রবিবার যেতে পারেননি।’
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁজরের হারে চোটের কারণে শ্রেয়সের অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ হচ্ছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। আরও দু’দিন তাঁকে আইসিইউতেই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণের জন্য যাতে শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ বন্ধ করাই তাঁদের প্রথম লক্ষ্য। তা হওয়ার পর পরবর্তী চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। শ্রেয়সের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটা দলও তৈরি করা হয়েছে। বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম জানিয়েছে, ‘শ্রেয়সের চোটের জায়গার স্ক্যান করানো হয়েছে। ওর প্লীহায় ক্ষত দেখা গিয়েছে। চিকিৎসা চলছে। শ্রেয়সের পরিস্থিতি স্থিতিশীল। উন্নতিও হয়েছে কিছুটা। সিডনি এবং ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে নাগাড়ে যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে। তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় দলের চিকিৎসক শ্রেয়সের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিস্থিতি জানাচ্ছেন।’
এটা ঘটনা, সিডনিতে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারের ক্যাচ ধরতে গিয়ে পাঁজরে চোট লাগে শ্রেয়সের। মাঠে কিছুক্ষণ চিকিৎসা হয়েছিল শ্রেয়সের। তার পর হেঁটেই সাজঘরে ফেরেন শ্রেয়স। কিন্তু তার পরে তাঁর শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ভারতীয় দলের চিকিৎসক এবং ফিজিও কোনও ঝুঁকি নেয়নি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় টিম ইন্ডিয়ার একদিনের দলের সহ–অধিনায়ককে। তার পর থেকে আইসিইউ–তেই রয়েছেন শ্রেয়স। তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও কিন্তু উদ্বেগজনক।
