আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেলবোর্ন হোক বা দুবাই। কখনও বিরাট কোহলি, কখনও তিলক ভার্মা। দুই তারকার নিশানায় একজনই। তিনি পাকিস্তানের হ্যারিস রউফ। বিশালাকায় মেলবোর্নে হ্যারিস রউফকে মারা কোহলির দুটো বিরাট ছক্কা ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে মনে থেকে যাবে চিরকাল। ৮ বলে ২৮ রান দরকার ভারতের। এই পরিস্থিতিতে কোহলি অতিমানব হয়ে ওঠেন।
রবিবারের দুবাইয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তান একসময়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু তিলক ভার্মা একার ক্যারিশমায় ম্যাচ বের করে আনেন। হ্যারিস রউফকে মারা তাঁর ছক্কার পরে ইরফান পাঠান বলতে শুরু করেন, ''আগে বিরাট কোহলি একা দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাচ বের করেছে। সেই ভূমিকায় আজ তিলক ভার্মা।''
আরও পড়ুন: তিলকের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে লণ্ডভণ্ড পাকিস্তান! এশিয়া সেরা ভারত...
অভিষেক শর্মাকে থামানোর কৌশল নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু তিলক ভার্মা যে ফাইনালে ম্যাচ উইনার হিসেবে আবির্ভূত হবেন, তা বুঝতে পারেননি সলমন আলি আঘারা। তিলক ভার্মার ইনিংস কিন্তু চিরকাল মনে থেকে যাবে ভারতের ক্রিকেটভক্তদের।
ওই তিলক আসছে তেড়ে! গোটা পাকিস্তানের দুঃস্বপ্নে ধরা দিয়েছেন তিলক ভার্মা। এশিয়া কাপের ফাইনালে অভিষেক শর্মাকে ফিরিয়ে সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তিলক ভার্মা যে জ্বলে উঠবেন চাপের মুখে তা বুঝতে পারেননি কেউই।
জয়ের তিলক ভারতের কপালে। গ্রুপ স্টেজ, সুপার ফোর এবং সবশেষে ফাইনাল। একই টুর্নামেন্টে তিন তিনবার পাকিস্তান বধ করল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হেলায় হারিয়ে পরপর দু’বার ঘরে এল এশিয়া কাপ। বিরাট কোহলি এখন আর টি-টোয়েন্টি খেলেন না। তিনি নিশ্চয় রবিরাতে তিলক ভার্মার এই সার্জিকাল স্ট্রাইক দেখেছেন। পাকিস্তান ম্যাচ, হ্যারিস রউফ কোথায় যেন এক করে দিল কোহলি ও তিলককে।
উত্তেজনার ফাইনালের শেষেও রইল টানটান নাটক। পাকিস্তানকে চরম শিক্ষা দিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দুবাইয়ের রাতে সূর্যোদয়ের এক ঘণ্টা পরে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। মঞ্চে তখন ছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভি। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের ধর্নুভাঙা পণ। কিছুতেই নকভির হাত থেকে তাঁরা ট্রফি নেবেন না। শেষমেশ চূড়ান্ত অসম্মানিত-অপমানিত নকভি ট্রফি নিয়েই চলে গেলেন। ভারতীয় ক্রিকেটাররা ট্রফি ছাড়াই উদযাপন করেন।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নকভি চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিয়ে হোটেলে রুমে পালিয়ে যান। আর তাঁর এহেন আচরণে প্রচণ্ড চটেছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সেক্রেটারি দেবজিৎ সইকিয়া। তাঁর এই আচরণকে অখেলোয়াড়োচিত বলে উল্লেখ করেন সইকিয়া।
তিনি বলেছেন, ''এসিসি চেয়ারম্যানের হাত থেকে ট্রফি নিতে আমরা অস্বীকার করেছিলাম। কারণ তিনি পাকিস্তানের একজন সিনিয়র মন্ত্রীও। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল।" ভারতীয় ক্রিকেটাররা সেই সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। সইকিয়ার বিস্ফোরণের কেন্দ্রে নকভি। বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলেন, ''মেডেল ও ট্রফি নিয়ে চলে যাওয়ার অধিকার ওকে কে দিয়েছে! অত্যন্ত হতাশাজনক ও অখেলোয়াড়োচিত আচরণ। আশা রাখব ট্রফি ও মেডেল ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিরিয়ে দেবে দ্রুত।''
