আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের গভীর নিম্নচাপের সতর্কবার্তা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যার জেরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উত্তাল সমুদ্র। তা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নিম্নচাপে ঘনীভূত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আন্দামান সাগরের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন আবহবিদরা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন আন্দামান সাগরে ২০ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেড় কিলোমিটার উঁচুতে। এর প্রভাবে ২১ অক্টোবর দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হবে। তা ক্রমে পশ্চিম–উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে আরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে ঘনীভূত হবে। ঝোড়ো হাওয়া বইবে আন্দামান–নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সর্বত্র।
এদিকে, মৌসম ভবন জানিয়েছে, নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর তার গতিবিধি কেমন হবে, তার উপর ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নির্ভর করছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত ভারীর সম্ভাবনা রয়েছে। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ এবং ২৫ অক্টোবরও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, এটাই আন্দামানে ঘুরতে যাওয়ার সময়। আর তাই সতর্কবার্তা থাকছে। আন্দামানের সমুদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে অন্তত ২৩ তারিখ পর্যন্ত বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পর্যটকদের। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নৌকার মালিক এবং সার্বিক ভাবে দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন সমুদ্রের ধারে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
তবে আন্দামানে বৃষ্টি হলেও নতুন ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের প্রভাব আপাতত পশ্চিমবঙ্গের উপর পড়ছে না। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই কোথাও। কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মূলত শুকনো আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। চলতি সপ্তাহের শেষে শনিবার এবং রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের দু’একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে সামান্য বৃষ্টি হলেও হতে পারে।
এটা ঘটনা রাজ্য থেকে ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে বর্ষা।
