আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া হাজী এ কে খান কলেজে কয়েকজন ছাত্রীকে 'যৌন হয়রানি' এবং তাঁদের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ওই কলেজেরই একাধিক ছাত্রী মঙ্গলবার ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করেন কলেজ অধ্যক্ষের কাছে। অভিযুক্ত অধ্যাপকের নাম, মিঠুন শেখ। এই ঘটনায় কলেজের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরাও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ছাত্রীদের দাবি, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক ছাত্রীর সাথে অশালীন ব্যবহার করেছেন ওই অধ্যাপক। তাই আতঙ্কে রয়েছেন বাকি ছাত্রীরাও।
এদিন লিখিত অভিযোগে ৭ জন ছাত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিঠুন শেখ বিগত কিছুদিন ধরে তাঁদের সাথে অশালীন এবং অপ্রীতিকর আচরণ করে চলেছেন। ওই অধ্যাপক বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অভিযোগ, তিনি তাদের গায়ে 'অস্বাভাবিক'ভাবে হাত দিচ্ছেন এবং ফোন করে আপত্তিকর মন্তব্য করছেন। এমনকী বিষয়টি কাউকে জানালে তাঁদের পড়াশোনার ক্ষতি করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
তাঁদের দাবি, ওই অধ্যাপক মাঝেমধ্যেই অনেক ছাত্রীর গায়ে হাত দেন এবং বিভিন্ন ধরনের 'কুমন্তব্য' করেন। এমনকী তাঁদের বলা হয় তাঁর সাথে সময় কাটালে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় নম্বর বেশি করে দেওয়া হবে।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুমার ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'দুর্গাপুজোর ছুটি শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার কলেজ খুলেছে। আজ দুপুর সাড়ে বারোটার পর কলেজের এক ছাত্রী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে 'খারাপ আচরণ' সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমাকে জমা দেন। এর কিছুক্ষণ পর আরও কয়েকজন ছাত্রী একই বিষয় নিয়ে আমাকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই আমি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এবং অন্যান্য সদস্যদেরকে জানিয়েছি। আগামী শনিবার এই বিষয়টি নিয়ে কলেজের নীতি নির্ধারণ কমিটির একটি বৈঠক হতে চলেছে। সেই বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা প্রযোজ্য হবে।' তবে এদিন অভিযুক্ত অধ্যাপক কলেজে আসেননি এবং ফোনেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
