মিল্টন সেন: ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে আগে থেকেই মিষ্টির দোকানগুলোতে জমে উঠেছে রমরমা ব্যবসা। বুধবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে মিষ্টির দোকানগুলিতে থিকথিকে ভিড়। ভাইয়ের পাতে মিষ্টতার ছোঁয়া দিতে বোনেরা ছুটছেন নামী-অনামী মিষ্টির দোকানে।

আর সেই সুযোগে নতুন নতুন স্বাদ ও চমক নিয়ে হাজির বড় বড় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। হুগলি জেলার মিষ্টি রাজ্যজুড়ে বিখ্যাত। চন্দননগর, ব্যান্ডেল, রিষড়া ও চুঁচুড়ার মিষ্টির দোকানগুলোতে এখন চোখ ধাঁধানো রকমারি মিষ্টির পসরা।

কাজু বাদাম পিষে ক্ষীর দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশেষ সন্দেশ, যা পরিবেশন করা হচ্ছে মাটির খুঁড়িতে। এগুলো দেখতেও যেমন সুন্দর, স্বাদেও তেমন লোভনীয়। ভাইফোঁটার দিন ভাইয়ের পাতে এমন মিষ্টি পড়লে আর কিছু চাওয়ার থাকে না।

তবে শুধুই নতুনত্ব নয়, ট্র্যাডিশনাল স্বাদের মিষ্টিতেও রয়েছে আগ্রহ। খাজা, প্যাঁড়া, লবঙ্গলতিকা, নলেন গুড়ের সন্দেশ বা চন্দননগরের বিখ্যাত জলভরা সবই ভাইফোঁটার বাজারে সমান জনপ্রিয়। এমনকি ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়ার ছাঁচে বানানো বিশেষ থিমে তৈরি করা সন্দেশও দারুণ সাড়া ফেলেছে।

চন্দননগরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় দাস জানান, ‘শুধুমাত্র ভাইফোঁটা উপলক্ষে প্রায় তিনশো রকমের মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। ট্র্যাডিশনাল থেকে আধুনিক সব ধরনের মিষ্টিই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। কারিগরদের দম ফেলার ফুরসত নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা চিনি খান না, তাঁদের জন্যও রয়েছে সুগার-ফ্রি মিষ্টির ব্যবস্থা।’

তবে এবারের ভাইফোঁটার আসল আকর্ষণ ‘গোবিন্দায়ো নমঃ’ নামের নতুন মিষ্টি। ধনঞ্জয়বাবুর কথায়, ‘এই মিষ্টিই এখন হটকেকের মতো বিক্রি হচ্ছে।’ চন্দননগরের পাশাপাশি হুগলির ব্যান্ডেল, রিষড়া ও চুঁচুড়ার দোকানগুলোতেও দেখা যাচ্ছে একই উন্মাদনা। বিকেল গড়ালেই দোকানের সামনে ভিড় লেগে যাচ্ছে ক্রেতাদের, উৎসবের আমেজে জমজমাট মিষ্টির বাজার।