আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ির সামনে আগুন জ্বলছে। ঘটছে একের পর এক ঘটনা। প্রাণরক্ষার তাগিদে রাতের অন্ধকারে চোরাপথে ভারতে ঢুকেছিলেন সেদেশের সংখ্যালঘু এক দম্পতি। তাঁদের সঙ্গে ছিল এক কিশোর। আশ্রয় নিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে এদেশে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ভবসিন্ধু মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী গীতারানী মণ্ডল -সহ এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। 

 

ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে গোটা বাংলাদেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম, ঢাকা, গোপালগঞ্জ-সহ পড়শি দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে অশান্তি।  গোপালগঞ্জে থাকতেন ভবসিন্ধু মণ্ডল ও গীতারানীদেবী। গত কয়েকদিনে সেখানে বেলাগাম সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতেও সেখানে কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভবসিন্ধু ও তাঁর স্ত্রী গীতারানি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এপার বাংলায় হুগলির শ্রীরামপুরে তাঁদের মেয়ের বাড়ি রয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার পেরিয়ে ভবসিন্ধু ও গীতারানি আত্মীয় এক কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে ভারতীয় সীমানা পেরিয়ে উত্তর ২৪ পরগণায় ঢুকে পড়েন। তাঁরা মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রাতে বনগাঁয় এক আত্মীয়র বাড়িতে ছিলেন। তাঁদের কাছে বৈধ পাসপোর্ট ছিল না। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। 

 

বৃহস্পতিবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী সমীর চক্রবর্তী বলেন, 'বাংলাদেশ জুড়ে এখন অশান্তির আগুন জ্বলছে। প্রাণ বাঁচাতে গোপালগঞ্জের এক দম্পতি বেআইনিভাবে ভারতীয় সীমানায় ঢুকেছেন। তাঁদের সঙ্গে কিশোরও রয়েছে। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলা রুজু হয়েছে। আদালত তাঁদের জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।'