মিল্টন সেন, হুগলি: চোরের সময়জ্ঞান অবাক করার মতো। রীতিমতো রেইকি করে চুরি। চোরের নির্ঘাত জানা ছিল, বাড়িতে কে কখন থাকেন। সময় বুঝে দ্রুত চুরি করে বাসিন্দারা বাড়ি ফেরার আগেই পগারপার। 

 

মাত্র ২০ মিনিট বাড়ি ফাঁকা ছিল। বাড়িতে কেউ ছিলেন না। চিলেকোঠার দরজা খুলে ঘরে ঢোকে চোর। দ্রুত আলমারির লকার ভেঙে লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি করে পালায়। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কোন্নগরের বাসিন্দারা। 

 

ঘটনাটি ঘটেছে কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রশ্রী ক্লাব এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল দে সরকার শুক্রবার সন্ধায় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী সুমিতা ছেলেকে পড়াতে নিয়ে যান বাড়িতে তালা দিয়ে। সাতটা কুড়ি নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সাতটা চল্লিশ মিনিটে বাড়ি ফিরে নিজের কাছে থাকা চাবি দিয়ে বাইরের তালা খোলেন শ্যামল। কিন্তু দরজা খুলতে গিয়ে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। দরজা ঠেলতে থাকেন। তবুও খোলে না। এরপর পাশের বাড়ির এক ব্যক্তিকে ডাকেন। তিনি এসে শাবল নিয়ে দরজা ভাঙেন। ঘরে ঢুকেই সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। দেখেন আলমারি খোলা। ঘরে জামাকাপড় ছড়ানো। লকারের ড্রয়ার উধাও। লকারে ভরি পাঁচেক সোনার গয়না ছিল। সব নিয়ে গেছে চোর।

 

দম্পতির অভিযোগ, কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় এই ধরনের চুরির ঘটনা ঘটছে ভরসন্ধ্যায়। তাঁদের প্রতিবেশীর বাড়িতে গত বছর অক্টোবর মাসে পুজোর সময় একইরকমভাবে চুরি হয়েছিল। পাড়ায় মদ-জুয়ার আড্ডা চলে। পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করে না। প্রতিবেশীরাও জানান, এই ধরনের ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। তাঁদের দাবি, এসব চেনা লোকই করছে। যারা জানে কে কখন বাড়িতে থাকছেন না। সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে চুরি করে পালাচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্যামল।