আজকাল ওয়েবডেস্ক: কালীপুজোর ভাসানের শোভাযাত্রায় মহিলার শ্লীলতাহানি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর নীলদর্পণ ব্লকে। শনিবার পুলিশ ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে নীলদর্পণ ব্লকের চাঁদাবাজার এলাকার পারিবারিক একটি কালীপুজোর ভাসানের শোভাযাত্রা ছিল। ওই শোভাযাত্রায় পাড়ার মহিলারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। অভিযোগ, শোভাযাত্রার ভিড়ে লাল্টু বালা নামে যুবক ও তার সঙ্গীরা এক মহিলার শ্লীলতাহানি করে। মুহূর্তে শোভাযাত্রার মধ্যে গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতিতা মহিলা রাতেই বনগাঁ থানায় লাল্টু-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। রাস্তার উপরে তাঁকে হাত ধরে টানাটানি করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে রাতেই পুলিশ লাল্টু-সহ তাঁর দুই সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য দু'জন ফেরার। পুলিশ তাদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে।
শনিবার মৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত লাল্টু বালার পরিচয় নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, লাল্টু তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নীলদর্পণ ব্লকের সভাপতি পদে রয়েছেন। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, 'অভিযুক্ত লাল্টু তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের নীলদর্পণ ব্লকের সভাপতি পদে রয়েছেন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।'
যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের নীলদর্পণ ব্লকের সভাপতি সুজয় বিশ্বাস বলেন, 'লাল্টু বালা দলের কোনও পদে নেই। অভিযুক্ত যুবক-সহ তিন জনকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। তা থেকেই বোঝা যায়, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। পুলিশের উপর আমরা কোনও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছি না। আইন আইনের পথেই চলবে।'
